রংপুর মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজের ডা. মুক্তা ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ অবস্থায় কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

পুলিশ জানায়, কলেজ কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। এ অবস্থায় গত ১০ বছরে বিবাদমান গ্রুপের মধ্যে অন্তত ২০ বার সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে ছাত্রলীগের কলেজ কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়নি। পূর্বের কমিটির ছাত্রলীগের সভাপতির শহিদুজ্জামান শহীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতা সরোয়ার ও ফারহান গ্রুপের বিবাদ চলে আসছিলো। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে ১ বৈশাখ পালন উপলক্ষে দু গ্রুপের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান করার প্রস্তুতি নেয়া হয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে গত সোমবার কলেজ অধ্যক্ষসহ সিনিয়র শিক্ষকরা দু পক্ষের মাঝে সমঝোতা করে দেন। ১ বোশেখ পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের মাঝে তাদের মধ্যে আবারও বিরোধ দেখা দেয়। সর্বশেষ এ নিয়ে বুধবার ভোর রাত ৪টার সময় ছাত্রলীগ নেতা সরোয়ার ও ফারহান গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শহীদ ডাক্তার মুক্তা ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ নেতাদের নামে বরাদ্দকৃত ৩৭, ৩৭,৩৯ ও ৪০ নম্বর কক্ষে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় হামলাকারীরা কক্ষে রক্ষিত সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন ছাত্রলীগের নেতা আশিক ফেরদৌস এবং বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ ও তার ছোট ভাই আসাদুজ্জামান। সে ভাইয়ের কাছে বেড়াতে এসেছিলো। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধলে আরও ৭ জন আহত হন।