নিখোঁজের এক সপ্তা পর গুলিবিদ্ধ লাশ মিললো মাগুরায়

ঝিনাইদহে শাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে যুবদলকর্মী তুরানকে অপহরণ

 

শাহনেওয়াজ খান সুমন: ঝিনাইদহে নিখোঁজ সেই ব্যবসায়ী তৈমুর রহমান তুরানকে (৩৫) জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েক ব্যক্তি গত শুক্রবার শহরের আরাপপুর থেকে তুরানকে ধরে নিয়ে যায়। এক সপ্তা পর তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে মাগুরায়। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কের আলমখালী এলাকায় একটি লিচু বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় থাকলেও পর নিহতের পরিবারের সদস্যরা লাশটি তুরানের বলে শনাক্ত করে।

তুরান ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর-ক্যাডেট কলেজ এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে। শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে তার একটি মোটরগাড়ি মেরামতের কারখানা রয়েছে। এদিকে নিহত তুরান জেলা যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর ফজলে এলাহী শিমুল জানান, তুরাণ সক্রিয়ভাবে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, গত ৩ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। পথিমধ্যে শহরের আরাপপুর এলাকার রাবেয়া ক্লিনিকের সামনে একটি মাইক্রোবাস তার গতিরোধ করে। মাইক্রোবাসে থাকা ব্যক্তিরা প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তাকে গাড়িতে উঠতে বলেন। আপত্তি জানালে অস্ত্র দেখিয়ে তৈমুরকে গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তানিয়া আরও জানান, সেদিন ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে বলেন, মাইক্রোবাসে থাকা ব্যক্তিরা সবাই শাদা পোশাকে ছিলেন। তবে সবার হাতে অস্ত্র ছিলো। এরপর তিনি পুলিশ ও প্রশাসনের নানা দপ্তরে খোঁজ করেছেন। কিন্তু প্রশাসন তৈবুরকে আটক করার কথা স্বীকার করেনি। নিখোঁজের একদিন পর তৈমুরের স্ত্রী তানিয়া আক্তার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ব্যবসায়ী তৈমুর রহমানকে প্রশাসনের কেউ আটক করেনি। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও তাকে জীবিত উদ্ধারে তৎপর ছিলেন। প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে উঠিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে ওসি জানান, অভিযোগটি সঠিক নয়।