এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তৃতীয় দিনে সারাদেশে ১০৭ জন বহিষ্কার : অনুপস্থিত ১০ হাজার ১৯৯ জন

স্টাফ রিপোর্টার: এইচএসসি ও সমমানের তৃতীয় পরীক্ষায় বৃহস্পতিবার সারাদেশে ১০৭ জন বহিষ্কার হয়েছে। এদিন এইচএসসিতে ইংরেজি প্রথমপত্র, আলিমে ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, কারিগরিতে কম্পিউটার বিষয়ের ৬টি পরীক্ষা ছিলো। মোট ১০ হাজার ১৯৯ জন এদিন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো। তুলনামূলক কঠিন বিষয়ের পরীক্ষার কারণে এদিন শুধু শিক্ষার্থী বহিষ্কারই যে বেশি হয়েছে তা নয়, নকল করার দায়ে শিক্ষার্থীদের অর্থদণ্ড, সহায়তাকারীদের কারাসহ উভয়দণ্ড, নকলে সহায়তার কারণে শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি আবার সহায়তা না করায় শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এর বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্রে হামলার ঘটনাও আছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তৃতীয় দিনে চুয়াডাঙ্গায় ১৩৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত এবং পরীক্ষায় নকলের দায়ে দু ছাত্রকে হল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনদিনে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১২ জন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ২০টি। গতকাল বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ১২৬ জন। ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় (বিএম) ৫০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন পরীক্ষার্থী এবং আলীম পরীক্ষায় ৩৩৪ জনের মধ্যে ৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দামুড়হুদায় নকল করার অপরাধে ফিরোজ হাসান নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে কার্পাসডাঙ্গা কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্র। তার রোল নং ৬৩৫৮৭৫। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা আ. ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের আওতাধীন দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভেনু পরিদর্শনে যান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ সময় তিনি ২০২ নং কক্ষে প্রবেশ করেন এবং ফিরোজ নামের ওই ছাত্রকে নকল করতে দেখেন। তিনি নকলসহ তার খাতা নিয়ে নেন এবং ওই ছাত্রকে বহিষ্কারের জন্য আমাকে আদেশ দেন।

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৩য় দিনে অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথমপত্র এবং কারিগরি শাখার কম্পিউটর অ্যাপ্লিকেশন ও অফিস ব্যবস্থাপনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ১০ জন পরীক্ষার্থী। উপজেলার সরকারি লালন শাহ কলেজ কেন্দ্রে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মান্দিয়া আইডিয়াল কলেজ এবং জোড়াদহ কলেজের ৫৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ১০ জন, অপরদিকে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সরকারি লালন শাহ কলেজ, হাজি আরসাদ আলী ডিগ্রি কলেজ এবং পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ৫ জন এবং হাজি আরসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের কারিগরী কেন্দ্রের প্রিয়নাথ স্কুল ভ্যানুতে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ৩ জন পরীক্ষার্থী। শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রথম থেকেই উপজেলা প্রশাসন পুলিশ বিভাগের সহযোগিতায় বিশেষ তদারকির ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। ফলে কেন্দ্র তিনটির ভিতরে বাইরের পরিবেশ ছিলো সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ। কোনো কেন্দ্রেই অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।