অস্বাভাবিক মৃত্যুর মৃতদহে দ্রুত আড়ালের অপচেষ্টা রুখতে হবে

 

যেকোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অত্যাবশকীয়। শাদা চোখে প্রকৃত কারণ শনাক্ত করা অসম্ভব। এ কারণেই ময়নাতদন্তের বিধান বিদ্যমান। অবাক হলেও সত্য যে, দীর্ঘদিন ধরেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মরদেহ তড়িঘড়ি করে আড়ালের চেষ্টা চালানোর প্রবণতা পেয়ে বসেছে। বিশেষ করে হাসপাতাল থেকে খানেকটা জোর করে লাশ সরিয়ে নেয়ার খবর মাঝে মধ্যেই পত্রস্থ হচ্ছে। প্রতিকার? মিলছে না।

ঘরে বাইরে যেখানেই অপমৃত্যু হোক, মৃত্যুর কারণ উন্মোচন না করে মৃতদেহ দাফন বা শেষকৃত্য সম্পন্ন করার মধ্যে রহস্যই শুধু লুকিয়ে থাকে না, মারা যাওয়ার পর আপনজনদের অনেকেই মৃতদেহ কাটাছেড়া করতে চান না। এ কারণে আত্মহত্যার মতো ঘটনারও মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন। পুলিশি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বহুলাংশে অনুমোদন মেলেও। বিধি মোতাবেক এ অনুমোদন নেয়ারও প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন না অনেকে। এরপর তা না হলে হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি করে লাশ সরিয়ে নেয়ার প্রবণতা পেয়ে বসলো কেন? অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, পুলিশি হয়রানি এড়ানোর জন্যই অনেকে মৃতদেহ দ্রুত আড়াল করার চেষ্টা করেন। আড়ালও যে একেবারে হয় না তাও নয়।

অবশ্যই অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উন্মোচনের কোনো প্রকারের প্রতিবন্ধকতা কাম্য নয়। একই সাথে মৃত্যুর কারণ উন্মোচনের নামে পুলিশি হয়রানিও প্রত্যাশিত নয়। সর্বক্ষেত্রেই যেমন দরকার আইনের স্বচ্ছ প্রয়োগ, তেমনই আইন প্রয়োগে সকলের সহযোগিতাও প্রয়োজন। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ জোর করে সরিয়ে নেয়া রোধে বাস্তবমুখি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে পুলিশ বক্স স্থাপনের বিষয়টি ভাবতে হবে।