কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ কালবোশেখি ঝড়ে ১০টি গ্রামের অন্তত ১০০ কাঁচাপাকা বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। মাঠের ফসল গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে । এদিকে গতপরশু রাতে চুয়াডাঙ্গায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অপরদিকে কুমিল্লায় গতকাল কালবোশেখি ছোবল দিয়েছে।
কালীগঞ্জের জামাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ও গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন ঘুমন্ত গ্রামগুলোতে হঠাৎ বৃষ্টিসহ কালবোশেখি ঝড় আঘাত হানে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তারা আরো জানিয়েছেন, ঝড়ে ইউনিয়ন দুটির কমপক্ষে ১০ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠের ফসল মাটির সাথে মিশে গেছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। ১০ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন শ শ গ্রামবাসী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে উপজেলার শালিখাডাঙ্গা, কামালহাট, ঘোষপাড়া, কোলা, রামচন্দ্রপুর গ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে জানিয়েছেন, উপজেলার কোলা ও জামাল ইউনিয়নে ভোর ৪টার দিকে বৃষ্টির সাথে কালবোশেখি ঝড় আঘাত হানে। এতে ইউনিয়ন দুটির অন্তত প্রায় ১০০ কাঁচাপাকা বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, ঝড়ের তাণ্ডবে মাঠে ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় টিনের চালা উড়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে ঘরে দেয়াল ও চালা। সাহায্য চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে কুমিল্লায় বজ্র, শিলাসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তা প্রবল ঝড়ে রূপ নেয়। এতে উঠতি ফসল ,ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অনেক যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে।