চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারা বাংলাদেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আনন্দ, বেদনা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আন্দোলনের নামে সহিংসতা-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড রুখে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের মধ্যদিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বাঙালি জাতি পালন করল ৪৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। শ্রদ্ধাবনত জাতি ফুলে ফুলে ভরে দেয় সাভারস্থ জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর মাজারের বেদিমূল। লাল-সবুজ পতাকা হাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে একই স্লোগান সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

DSC_0817

সত্যিই এক নতুন রূপে ও চেতনায় ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করল দেশবাসী। অন্যরকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিল বাঙালি। রুখে দাঁড়াও পরাজিত শক্তির নাশকতা-হুঙ্কার, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবার এমন স্লোগানে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নতুন প্রজন্মের ছিলো বাঁধভাঙা স্রোত। গতকাল প্রত্যুষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালার। ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতাদের সাথে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় মন্ত্রিবর্গ, উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করেন।

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ আশ-পাশ এলাকায় ৪৪তম মহান স্বীধনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল বৃহ¯প্রতিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখি, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশগড়ার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে মহান এ বিবসটির ৪৪তম দিবস উদযাপিত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপন করে। দিনব্যাপি চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচি পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে জেলা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই সাথে জেলা প্রশাসনের পক্ষে শহীদ হাসান চত্বরে জেলা প্রশাসক মো, দেলোয়ার হোসাইনের নেতৃত্বে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বেগম আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইনটি) আব্দুর রাজ্জাকসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এরপর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ছুফি উল্লাহ প্রমুখ। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শামশুজ্জোহা পিপি, সদর চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কোহিনুর বেগমসহ নেতৃবৃন্দ। জেলা পরিষদের পক্ষে প্রধান নিবাহী কর্মকর্তী শেখ হামিম হাসানের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করেন। সদর উপজেলা প্রশাসেন পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম মামুনুজ্জামানের নেতৃত্বে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়রের পক্ষে মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। পৌর পরিষদের পক্ষে মেয়র টোটন ও কাউন্সিলম সিরাজুল ইসলাম মনি প্রমুখ। জেলা বিএনপির পক্ষে আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাথে ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, সদস্য সরদার আলী হোসেন, মহিলা দলের সভানেত্রী রওফুন নাহার রীনা।

অপরদিকে বিকেল ৪টার দিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালক মজু, সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, মাহামুদুল হক পল্টু। যুবদলের পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম রতন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, রেজউল করিম মুকুট। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্সপার্টির পক্ষের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মামুন-অর-রশীদ, আহসান আলী প্রমুখ। এলজিইডির পক্ষে সহকারী প্রকৌশলী রফিকুর রহমান, উচ্চমান সহকারী আমিরুল ইসলাম ও উপসহকারী প্রকৌশলী ইফতেখার উদ্দীন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের পক্ষে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ নির্মল কুমার দের নেতৃত্বে। সাথে ছিলেন বিএডিসির উপপরিচালক তাজুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিজিএম ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কোহিনুর ইসলাম। জেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটি, পাইন ক্লাব, চিৎলা ইউপির পক্ষে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়াশেনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুন অর-রশীদ পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. রবিউল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাউল হক, বিএমএ’র পক্ষে বিএমএর সভাপতি ডা. মার্টিন হিরোক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষে আহ্বায়ক আরমান আলী, আমিরুল ইসলাম, বদরুজ্জামান। নাসিং ইনস্টিটিউট, জিমনেসিয়াম, এছাড়া ও সকাল ৭টায় সিডিএফ কার্যালয় থেকে একটি ৱ্যালি চুয়াডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ করে বড় বাজার শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সিডিএফ, এডাব, প্রত্যাশা, পাস, রিসো, আত্মবিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিডিএফ প্রকল্প সমন্বয়কারী চুমকি, প্রত্যাশার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, পাস’র নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা এলাকার সকল সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয় এবং পৌরসভাকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়স্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ ও হলুদ পাখি, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দল এবং সংগঠন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর পাইলট ক্যাডেট বিদ্যুত ও ক্যাডেট মিঠু গার্ড অব অনারের মাধ্যমে এবং প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই মো. রেজাউল করিমের চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আঞ্জুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাইদ, চিফ জুডিসিয়ালের বিজ্ঞ বিচারকগণ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ. রাজ্জাক, পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক, জেলা আনসার অ্যাডজুটেন্ট, সিভিল ডিফেন্স প্রধান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান,জেলা তর্থ্য অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা নাফিজ সুলতানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান (বীরপ্রতিক), সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা সিপি বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গার প্লান ম্যানেজার থ্যাপা খামচু, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বদিউজ্জামন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, সদর থানা কর্মকতা আসাদুজ্জামান পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত সকলের উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখি, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রাণবন্ত বক্তৃতা। কুচকাওয়াজে ক বিভাগে প্রথমস্থান অধিকার করে সরকারি শিশু সদন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যুবা রেডক্রিসেন্ট ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। খ বিভাগে প্রথমস্থান অধিকার করে সরকারি শিশু পরিবার, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে প্রদীপন বিদ্যাপীঠ ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে কাবদল এমএবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ক বিভাগের ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশুসদন, ২য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, এবং ৩য় স্থান অধিকার করে গাল্র্স গাইড রাহেলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়। খ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে ফুলকুড়ি শিশু বিদ্যালয় ২য় স্থান অধিকার করে সরকারি শিশু পরিবার এবং ৩য় স্থান অধিকার করে কাবদল ছাত্র এমএবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে আগত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দলগুলোর জন্য প্রচণ্ড গরমে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করে গ্রিনফুড ও জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

শরীরচর্চা প্রদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সান্ত্বনা পুরস্কার ও ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে বিশেষ পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনডিসি তরিকুল ইসলাম। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর উন্মুক্ত মঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনাসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার (সার্বিক) সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকতা শেখ হামীম হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনউজ্জামান, বীর প্রতীক বীরমু ক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন ও উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশু বাঙালী। আলোচনাসভা শেষে সদর উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গার ৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননা স্মারকে ভূষিত করা হয়। তারা হলেন বীর প্রতীক সাইদুর রহমান, আশু বাঙালী ও মাবুদ জোর্য়াদ্দার। একই সাথে ১৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুন্সি আবু সাঈফ। বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মহিলাদের আলোচনাসভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসকের পত্নী মাকসুদা বেগম। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বেগম আনজুমান আরা।

বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতিয় দিবস ২০১৫ উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার প্রাক্তন খেলোয়াড় বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ, মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম সোনালি অতীত একাদশ, সাংবাদিক একাদশ বনাম জেলা দোকান মালিক সমিতি/জেলা শিল্প বণিক সমিতি এবং জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন একাদশের অধিনায়ক ছিলেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, সহঅধিনায়ক ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ. রাজ্জাক এবং পৌরসভা একাদশের অধিনায়ক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। ৪টি ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হয়। খেলাগুলো পরিচালনা করেন সাবেক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন মধু। প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়দেকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ পর্বের শুরুতে গত ২৪ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত ম্যারাথন দৌড়ে বিজয়ী ৬ প্রতিযোগীকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম, জেলা মহিলা ক্রড়ী সংস্থার সম্পাদিকা সেলিনা খাতুন, রাফিয়া খাতুন প্রমুখ। এদিকে কোর্টপাড়া যুব সমাজের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা চাঁনমারী মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলায় যাদের বয়স ৫০ উর্দ্ধো তারা বনাম যাদের বয়স ৫০র নিচে তাদের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় প্রবীণরা ১-০ গোলে জয়লাভ করে। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন।

সন্ধ্যায় জেলা শ্রীমান্ত টাউন হলে সুখি, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহারের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাসবাই চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাইফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামীম হাসান, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন।

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকাল ৯টায় ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ে দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। এছাড়াও সকাল ৮টায় সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, ডিঙ্গেদহ দাখিলী মাদরাসা, ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়, উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা, জালসুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শঙ্করচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৱ্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে সকাল ৯টা থেকে ঢাকা বারডেম হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ আওলিয়ার রহমানের সহযোগিতায় ডিঙ্গেদহ যুব সমাজ ডিঙ্গেদহ বাজারে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করেন।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ দিনব্যাপি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সভাপতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন। ২৭ মার্চ শুক্রবার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।

সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৱ্যালি বের করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ শেখ, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আজিজুল হক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়াসহ কলেজ শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ শেখ, প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ, অব শিক্ষক শওকত আলী। এছাড়া আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসা, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, সরোজগঞ্জ চাইল্ড কেয়ার হোম, শিশু নিকেতন বিদ্যাপিঠ, সরোজগঞ্জ বেবী নাসিং স্কুল, আন নুর ইসলামী একাডেমী, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পদ্মবিলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকালে পদ্মবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় কুশোডাঙ্গা বাজারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা খাজা শাহবুদদীন, সভাপতি বজলুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা কর্মী। এছাড়াও কুশোডাঙ্গা সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকানদি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেজুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুতুরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি পালন করে।

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।কলেজের অধ্যক্ষ মো.শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মোতালেব, জেলা আ.লীগের সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন টাইগার ও আতিয়ার রহমান মুকুল মিয়া।

অপরদিকে, বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ কামিল মাদরাসা উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ২২ মার্চ মাদরাসার শ্রেণী ভিত্তিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. জলিল হাওলাদার। ২৬ মার্চ সকালে শ্রেণিভিত্তিক ক্রিকেট খেলায় আলীম ২য় বর্ষ ও ৯ম শ্রেণীর মধ্যে ফাইনাল খেলা অণুষ্ঠিত হয়। খেলায় আলীম ২য় বর্ষ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অন্যদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপদযাপন উপলক্ষে বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ কামিল মাদরাসার পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্প্রতি বার চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য পালিত হয়েছে। দিবসটির মধ্যে ছিলো আলোচনাসভা ও ৱ্যালি। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল্লা আল মামুন, প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন, সহপ্রধান শিক্ষক আলী হোসেন মাস্টার। এছাড়াও দিবসটি খাড়াগোদা, তিতুদহ, গিরিশনগর, বেগমপুর-যদুপুর ও কোটালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে রুইতনপুর মোড়ে গতকাল বিকাল ৫টা দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অহিদুল মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চিৎলা ইউপির চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর, আলমডাঙ্গা উপজেলা আ. লীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমির হোসেন প্রমুখ।

বড় গাংনী নাসরুল উলুম সিদ্দিকিয়া দাখির মাদরাসা মাঠে আলোচনা সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মওলানা মজিবার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা ও গাংনী আবু তাহের আবু, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন প্রমুখ। এদিকে নিমতলা মাথাভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আলোচনা সভায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রথান অতিথি ছিলেন চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। অতিথি হিসাবে উপস্থিত জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আসাদুজ্জামান কবীর প্রমুখ। সাহেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যুব সমাজের উদ্যোগে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে।

আলুকদিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা আকন্দবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালামের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলুকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তাউর রহমান মুকুল। বিশেষ অতিথী ছিলেন আলুকদিয়া ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন, ইউপি মেম্বার সোনু মোল্লা ও স্থানীয় শিক্ষক আতিকুর রহমান মিলন।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষ্ উপজেলা প্রশাসন, আলমডাঙ্গা পৌরসভা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সূর্যোদয়ের সময় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে। এরপর সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার ও আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন-অর রশিদ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাসান কাদির গনু, জেলা সহসভাপতি এ্যাড আব্দুর রশিদ মোল্লা, পৌর সভাপতি আবু মুছা, উপজেলা সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্টু, সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুণ, শামীম আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, জেলা জাসদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলি, উপজেলা সভাপতি গোলাম সরোয়ার, জামাল উদ্দীন কমান্ডার প্রমুখ। সাড়ে ৮টায় পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট, গার্লস গাইড, ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থিদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। এরপর আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট হাইস্কুল, এরশাদপুর একাডেমী, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাইট মডেল স্কুল, আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার ডিসপ্লে ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। বেলা সাড়ে ১১ টায় স্বাধীনতা ৱ্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। সিনেমা হলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন, এরপর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাক্তার শাহাবুদ্দীন সাবু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মজিবর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড আব্দুর রশিদ মোল্লা,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দার সুলতান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা কৃষি অফিসার এ কে এম হাসিবুল হাসান, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এইচ এম শামীমুজ্জামান, আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন-অর রশিদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুস সাত্তার, উপজেলা প্রকৌশলি সুপ্রিয় মুখার্জী, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আবু তালেব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ কুমার পাল, নির্বাচন অফিসার ফেরদোস আলম,মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, কৃষি অফিসার এ কে এম হাসিবুল হাসান, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার জিল্লুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল, সহকারী শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মিজানুর রহমান। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরন করা হয়।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রত্যুষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের জাতীয় ও পৌর সভার পতাকা উত্তোলন, ভোর সাড়ে ৬টায় পৌর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দীন। সকাল সাড়ে ৭ টায় মেয়রের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পার্পণ ও ফাতেহা পাঠ কয়া হয়,সাড়ে ৮ টায় স্বাধীনতা ৱ্যালি পৌরসভার পক্ষ থেকে শহর প্রদক্ষিণ করে, দুপুর সাড়ে ২ টায় পৌরসভাধীন ৯০ জন মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় তাদেরকে সন্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র, ৫শ করে টাকা ও উন্নত্মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মেয়র মীর মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাক্তার শাহাবুদ্দীন আহমেদ সাবু, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রাজা মাস্টার, জামাল উদ্দীন কমান্ডার। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ জকুর উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দীন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ, মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলি।

বিকেলে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্বতস্ফুর্ত প্রীতি ফুটবল খেলায় সকলস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শেষে এক মনোজ্ঞ পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেয়র মীর মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম। শেষে সকল খেলোয়াড়কে পুরষ্কৃত করা হয়।

এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্যার্পণ, দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ প্রদান, ৱ্যালি ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, জেলা সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু, অ্যাড. আব্দুর রহমান মোল্লা, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী, সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, শহিদুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান,শাহ আলম, মাসুদ রানা তুহিন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসানউল্লাহ, পৌর যুলীগের সভাপতি গাফফার,সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, যুবলীগ নেতা রাজাবুল হক মনা, মিজানুর রহমান মিজান, সাইফুর রহমান পিন্ট, ফারুক, ডিটু, টুটুল, সিবলী, মনিরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আলাল আহমেদ,কলেজ ছাত্রলীগের সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সম্পাদক তমাল, ছাত্রলীগ নেতা কাফি, হাসান, সোহাগ সহ দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা বিএনপি পৃথক পৃথক ভাবে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে। সকালে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন শহীদ মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ ও স্বাধীনতা ৱ্যালি ও আলোচনাসভা করেছে। হাইরোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মজিবার রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম,পৌর বিএনপির সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন। বিএনপির অপরাংশ হাজিমোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় পৌর বিএনপির সভাপতি ইসরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলার বিএনপির সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক বোরহান উদ্দিন। সন্ধ্যায় জেলা জাসদ আহ্বায়ক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলি ও উপজেলা জাসদ সভাপতি গোলাম সরোয়ারের নেতৃত্বে শহরে এক মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাসদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পৌর সভাপতি মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর, আলমডাঙ্গার জেহালা, বাড়াদী, বড় গাংনী, নাগদাহ, আইলহাস, আসমানখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন সকালে পতাকা উত্তোলন, ৱ্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজনসহ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে। এছাড়া মুন্সিগঞ্জ সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, মুন্সিগঞ্জ একাডেমী, মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়সহ এলাকার স্কুল ও কলেজে শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপি খেলাধুলার ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিদ্যাধরপুর নাসির উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্দোগ্যে নানা কর্মসূচি পালন করার খবর পাওয়া গেছে। সকালে ৱ্যালি, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনাসভা অনুষ্টিত হয়।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৭ টায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নাটুদাহ ৮ শহীদ বেদীতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন ও ছালাম গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল ও মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান। দামুড়হুদা থানার চৌকস পুলিশদল, আনসার ও ভিডিপি, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের রোভার স্কাউসসহ বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কুঁচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে ।

সকাল ৯ টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শণ করে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু. উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারী এম. নুরুন্নবীসহ প্রমূখ

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্টান ব্যাপক কর্মসুচির মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে ৱ্যালি বের করে কেরুজ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্প্যমাল্য অর্পণ করেছে। ৱ্যালিতে অংশ নেয় আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেরুজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেরুজ চিনিকল, জাসদ, জাতীয় পার্টি, শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোর মধ্যে দর্শনা সরকারি কলেজ, মেমনগর বিডি, কেরুজ, দক্ষিণচাঁদপুর, মাধমিক বালিক বিদ্যালয়, পূর্বরামনগর, পশ্চিম রামনগর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, শ্যামপুর, জয়নগর, দক্ষিণচাদপুর, কাস্টমস, পরাণপুর, শান্তিনগর, আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, অনির্বান থিয়েটার, চিরন্তন, দর্শনা পৌরসভা, দর্শনা প্রেসক্লাব, সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, সিডিএল, নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের মধ্যে তৈয়ব, সবুজ, হাফিজ, মোস্তাফিজুর, মাসুদ ও প্রিন্স সংগঠন। দিনব্যাপি আলোচনা পর্বের মধ্যে দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা ও অনির্বাণ থিয়েটারের যৌথ আয়োজনে গণসংগীত ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া রামনগর মাথাভাঙ্গা যুবসংঘ দিনভর ক্রিড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিকালে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে। মেমনগর মাঠে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, কেরুহ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজুর রহম্না, মোমিনুল ইসলাম, মোজাহারুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, আ. রফিক কাবি, হাতেম মন্ডল সহ ক্লাবের সকল সদস্য।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দলীয় অফিসে পতাকা উত্তোলন করেছে। সকাল ৮টায় জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু দলীয় পাতাকা উত্তোলন করেন ইউনিয়ন বিএসপির সভাপতি আ. রহমান মালিতা।

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকাল ৭টার সময় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগ ও বিএনপি নিজ নিজ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন। কার্পাসডাঙ্গা কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, ইসলামিয়া (বিএ) ফাযিল মাদরাসা, হাদিকাতুল উলুম বালিকা মাদরাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বিশ্বাস কিন্ডার গার্টেন, অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন, ইসলামিয়া প্রি-ক্যাডেট এন্ড বেবি টিচিং সেন্টার, জাগরনীচক্র ফাউন্ডেশন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, কুতুবপুর, নাটুদা, তালসারী, কানাইডাঙ্গা, পীরপুরকুল্লা, ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছে, কুড়ুলগাছি দাখিল মাদরাসা, কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদাবরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্ডিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় দিবসটি পালন করেছে। কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ডাউকি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ১১টার দিকে আলমডাঙ্গার বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমির প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খবির উদ্দিন।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ৪৫ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের শুভ সুচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা সকল সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জীবননগর থানা পাইলট মডেল হাইস্কুল মাঠে সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তলন করেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। এসময় অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতি অমল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজ ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির সালাম গ্রহন করেন। পুলিশের এসআই শতদল মজুমদার প্যারেট কমা-ার হিসেবে কুচকাওয়াজ নেতৃত্বে প্রদান করেন। কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, পাইলট মডেল হাইস্কুল, আকলিমা প্রি ক্যাডেট, ফেমাস কিন্ডার গার্ডেন, পৌর কিন্ডার গার্ডেন, আশরাফুল মডেল অ্যাকাডেমি, হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, জীবননগর আলিম মাদরাসা, জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলৎগজ্ঞ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর থানা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন। শেষে আশরাফুল মডেল অ্যাকাডেমি, পৌর কিন্ডার স্কুল, জীবননগর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আকলিমা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীরা শরীরর্চ্চা প্রদর্শন করে। শরীর চর্চ্চা প্রদর্শনীতে আকলিমা প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রথম স্থান অধিকার করে। এ ছাড়া ও মাধবখালী সীমান্তে অবিস্থত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে ফাতেহা পাঠ, উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়মে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক চিলচিত্র প্রদর্শন ও জীবননগর পাইলট হাইস্কুল মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলার সকল মসজিদ, মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল ও এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকালে জীবননগর ষ্টেডিয়াম মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা চত্বরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়াও মিনাজপুর মাধ্যমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠাকি ভাবে পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা। এ ছাড়াও র‌্যালি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। দিন ব্যাপি ক্রিড়া অনুষ্ঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মিয়া, দর্শনা পৌর সভার সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান, বাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের প্রধান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিকে হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যায়ের উদ্যোগে মাহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, র‌্যালি, ক্রীড়া ও নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম বিশ্বাস। গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান মালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পচা। ধোপাখালীতে এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। দৈনিক কালের ছবি বন্ধু সংসদ জীবননগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনাসভা ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতার ৪৫ বছর শীর্ষক আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের ছবির জীবননগর প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ, জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ক্যম্পাস প্রতিনিধি মহিবুল ইসলাম মুকুল প্রমূখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। ভোরে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৬ টার সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জেলা কমান্ডার বশির আহম্মেদ, জেলা শিল্প ও বনিক সমিতির পক্ষে সভাপতি সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, পৌরবাসীর পক্ষে মেয়র আলহাজ মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, গনপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলনী আহসানউল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম, সদর থানা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি আলহাজ গোলাম রসুল, জেলা কৃষক লীগের পক্ষে সভাপতি মাহাবুব আলম শান্তি, শহর আওয়ামী লীগের পক্ষে অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের পক্ষে সভাপতি সাজ্জাদুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সদর থানা কৃষক লীগের পক্ষে সভাপতি জাফর ইকবাল, জেলা শ্রমিক লীগের পক্ষে আহ্বায়ক এনামুল হক, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতিন, মেহেরপুর থিয়েটারের পক্ষে সহকারি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, মেহেরপুর ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান মালেক, জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. রমেশ চন্দ্র নাথ, নজরুল একাডেমি মেহেরপুর জেলা শাখার পক্ষে সভাপতি ড. গাজী রহমান, জাতীয় সাধু সংসদ বাংলাদেশ, মেহেরপুর জেলা শাখার পক্ষে সভাপতি নাদিম শাহ শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এছাড়াও মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, পৌর ডিগ্রি কলেজ, মেহেরপুর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এছাড়া সকাল ৭টায় জেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এমপি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা আক্তার বানু। এছাড়া জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এছাড়া সকাল পৌনে ৮ টার দিকে মেহেরপুর ষ্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও ভিডিপি, রোভার, বয় স্কাউট,গার্লস গাইড, কাব ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে-মেয়েরো সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শণ করে। জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন সালাম গ্রহণ করেন। এসময় পুলিশ সুপার হামিদুল আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টায় মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাজেদুল হক খান, (রাজস্ব) হেমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, ভাষা সৈনিক ইসমাইল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ আসকার আলী, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, আব্দুল হালিম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক কেএম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. কাজি শহিদুল হক প্রমুখ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। ছয়টার দিকে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন ও গাংনী থানার ওসি আকরাম হোসেন। পরে মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, গাংনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি রমজান আলী, সম্পাদক রেজা আহম্মেদ, জাতীয় পার্টি দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।

সকাল আটটার দিকে গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে পুলিশ, আনছার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিবাদন গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন এবং ওসি আকরাম হোসেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। কুঁজকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অংশ নিতে একটি পক্ষ নিষেধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউএনও। যারা রাষ্ট্রীয় কর্মসুচীতে অংশ গ্রহণ করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।

বেলা এগারটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা এমপি সেলিনা আখতার বানু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী ও হাজী মহসিন আলী। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সকালে বাস স্ট্যান্ডে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মসুচী উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। এরপরে একটি র‌্যালি প্রধান সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর শহীদ মিনারে পৌছায়। সেখানে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন সংরক্ষিত মহিলা এমপি সেলিনা আখতার বানু, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, হাজী মহসিন আলী ও যুবলীগ নেতা নবির উদ্দীনসহ নেতৃবৃন্দ। পরে আলোচনা সভা ও কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সরকারী বিভিন্ন কর্মসুচীতে অংশ গ্রহণ করেন জেলা আ’লীগ সম্পাদক ও উপজেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ।

মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা করা হয়েছে। সকালে উত্তরপাড়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরে মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি প্রধান সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌছায়। শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করা হয়। আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান মুকুল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুর জাহান বেগম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন, সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, য্গ্মু সম্পাদক মজিরুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ। পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মহিলা কলেজের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন এমপি মকবুল হোসেন।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান বর্জন করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। উপজেলা কমান্ডার মুন্তাজ আলী জানান, এমপি মকবুল হোসেন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলমের উদ্যোগে কয়েক বছর আগে থেকে মুিক্তযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে অতিথি না করায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে বিছিন্ন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়ে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন। তাই কমান্ডের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুন্তাজ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন। তবে অভিযোগ সঠিক নয় জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী সরকারী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। সকালে করমদি কলেজ অধ্যক্ষ একরামুল হকের সভাপতিত্বে কলেজে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাংনী পৌর কেজি অ্যান্ড জুনিয়র হাইস্কুল, আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেরাইল জোড়পুকুরিয়া কলেজ ও পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সুর্যদয়ের সাথে সাথে মুজিবনগর স্মুতি সৌধ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসুচী শুরু হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার মন্ডল ও মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আ. সালেক। সাত টায় স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসনে পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মুজিবনগর থানার পক্ষে ওসি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে কমান্ডার আব্দুল জলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, সৈনিকলীগ, সাম্যবাদী দল, সৈনিক সংস্থা, মুজিবনগর দুরনীতি প্রতিরোধ কমিটি, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ, মুজিবনগর সরকারী শিশু পরিবার পুষ্পার্ঘ অর্পন করে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পন করা হয়। ৯টায় মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্যারেডে সালাম গ্রহন করেন ও দিবসটি তাৎপর্য তুলে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার মন্ডল। প্যারেড কমান্ডার মুজিবনগর থানার এসআই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আনছার, বিএনসিসি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা প্যারেডে অংশ নেয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। পরে অংশ গ্রহনকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ১০টায় উপজেলা চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতি বার আলমডাঙ্গা হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা  ও জাতীয়  দিবস উদযাপন করা হয়। হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ সভাপতি আশাবুল হক ঠান্ডু। আলোচনা করেন হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক। আলমডাঙ্গা উপজেলা আঃলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলি,  বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়ব  উদ্দিন, আ. কাদের, আব্দুর রহমান ধুনা, মারফত আলি, আ.লীগ নেতা কালু জোয়াদ্দার, হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্প আইসি এসআই মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় এবং নিয়ম ভঙ্গ করে পতাকা উত্তোলনের দায়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ১৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহানাজ পারভীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪ হাজার ৩শ টাকা জরিমানা করেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ইউনুচ আলী জানান, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় ১৮টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করে ৪ হাজার ৩শ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তারা জরিমানার টাকা সাথে সাথে পরিশোধ করায় জেল-হাজতের হাত থেকে রক্ষা পান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাহানাজ পারভিন জানান, স্বাধীনতা দিবসে প্রতিটি সরকারি, বে-সরকারি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বাধ্যতামূলক। পতাকা উত্তোলন না করে তারা জাতীয় কর্মসূচিকে অবঙ্গা করায় ভ্রাম্যমান আদালত তাদের জরিমানা করেছে।