ধরা পড়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

গাংনীতে যুবকের সাথে মধ্য বয়সী নারীর পরকয়া প্রেম

 

গাংনী প্রতিনিধি: স্বামীকে বিছানায় রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে রঙ্গলীলায় মেতে ফেঁসে গেছেন মধ্যবয়সী এক গৃহবধু। স্বামী ও প্রেমিকের কোনো কুল না পেয়ে কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা করেছেন তিনি। অসম এ প্রেমকাহিনীর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিনগত রাতে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামে। প্রেমিকার দায়ের করা মামলায় প্রেমিক যুবক বেল্টু মিয়ার (২২) ঠিকানা এখন গাংনী থানার শ্রীঘরে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জালশুকা গ্রামের পরস্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী উমর আলীর ছেলে কৃষক বেল্টু মিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবন এবং ১১ বছর এক ছেলেকে ফেলে বেল্টুর সাথে গভীর ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মিনা। সোমবার মধ্যরাতে বেল্টু মিয়া তার ঘরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে স্বামী ও তার ভাতিজা টের পেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দুজনকে আটক করেন। দুজনকেই মারধর করে বেল্টুকে বাড়ির পাশে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। গ্রাম্য প্রচেষ্টায় সমাধান না হওয়ায় তাদেরকে তুলে দেয়া হয় থানা পুলিশে।

গতকাল সকালে গাংনী থানায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে আনা হয়। তারা পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানিয়ে অন্তরঙ্গ মেলামেশার কথা স্বীকার করেন। তবে বেল্টুর অভিযোগ তাকে ফাঁদে ফেলেছে। পাল্টা অভিযোগ করে পরস্ত্রী বলেন, তাকে বিয়ের প্রলোভনে দেহভোগ করেছে বেল্টু।

এদিকে থানায় দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ব্যর্থ হয়। মিনার স্বামী উমর আলী সাফ জানিয়ে দেয় কলঙ্কিনি স্ত্রীকে সে কোনো অবস্থায় ঘরে তুলবেন না। অপরদিকে বেল্টুও বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। শেষ পর্যন্ত পরস্ত্রী বাদী হয়ে প্রেমিকের নামে থানায় ধর্ষণ অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, ধর্ষণ মামলা আজ বেল্টুকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। পাশাপাশি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মিনাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

Leave a comment