ভারতীয় সমর্থকদের নিয়ে চিন্তিত ক্লার্ক

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অস্ট্রেলিয়া-ভারতের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। হোম ভেন্যুতে সেমিফাইনালের আগে নতুন দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে অস্ট্রেলিয়ান শিবিরে। দুশ্চিন্তার নাম দর্শক। নিজ দলের নয়, সেমিফাইনালের আগে ক্লার্কদের চিন্তার বিষয় হচ্ছে ভারতীয় সমর্থক। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ভারতের ম্যাচগুলোতে স্টেডিয়াম মাতিয়েছে দেশটির সমর্থকরা। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। প্রতিটি স্টেডিয়ামে বাদ্য বাজনা হাতে হাজির হয়েছেন তারা। সিডনির সেমিফাইনালে এর ব্যত্যয় ঘটবে না বলে আশঙ্কা করেছেন মাইকেল ক্লার্ক। তাইতো নিজেদের সমর্থকদের উদ্দেশে টুইট করে তাদের বৃহস্পতিবার স্টেডিয়ামে হাজির হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে প্রচুর ভারতীয় নাগরিক বসবাস করে। তার ওপর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি শহর থেকে দলে দলে ভারতীয়রা সেমিফাইনাল কেন্দ্র করে আসতে শুরু করেছে সিডনিতে। এরই মধ্যে ৪২ হাজার ধারণক্ষমতার সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টিকিট প্রায় ফুরিয়ে গেছে। গুঞ্জন রয়েছে যার ৭০ শতাংশ টিকিটই নাকি কিনেছে ভারতীয়রা। সেমিফাইনালের আগে এটিই ভাবিয়ে তুলেছে ক্লার্ককে। ক্লার্ক মনে করেন সিডনিতে যদি ভারতীয় সমর্থকরা ভরে যায় তার প্রভাব ম্যাচে পড়তে পারে। সে কারণে তিনি নিজ দেশকে সমর্থন যোগানোর অন্য অস্ট্রেলিয়ানদের মাঠে আসার অনুরোধ করেছেন। ইংল্যান্ড দলকে সমর্থন যোগানোর জন্য সেদেশের বার্মি আর্মিরা যেমন এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়ায় তেমনি ভারতীয়রা তৈরি করেছে ‘সোয়ামি’ (স্বামী) আর্মি। বিশ্বকাপে তৈরি হওয়া এই সমর্থক গোষ্ঠী সেমিফাইনালের আগে নানা রকম পরিকল্পনা আঁটছেন। দু’দিন আগে অসি পেসার জশ হ্যাজেলউড বলেন, সিডনির উইকেট ঘাস পেস দেখতে চাই। এর প্রতি উত্তরে ভারতীয় সমর্থক গোষ্ঠীর কার্তিক আগারওয়াল বলেন, সিডনির উইকেটে ঘাস রেখে যতোই পেসারবান্ধব উইকেট তৈরি করুক, তাতে কোন লাভই হবে না। আমরা স্টেডিয়ামে জড়ো হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে ওদের বোলারদের মাথা নষ্ট করে দেবে। তাতে অসি পেসাররা কাজের কাজ কিছুই করতে পারবে না।