যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা

চুয়াডাঙ্গার ভি.জে উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কৈলাশ কামিনী ভবন অপসারণ দাবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কৈলাশ কামিনী ভবন নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ১৯২৩ সালে নির্মিত ৯২ বছর বয়সী এই ভবন যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে হতাহতসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ভবনটি অবিলম্বে অপসারণের দাবি উঠেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবনটির দোতলা অংশের দেয়ালের অনেকাংশ ভেঙে পড়েছে। নিচতলার ছাদের আস্তরণ খসে রড বের হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

বিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষক জানান, দোতলা ওই ভবনটির সিঁড়ি পশ্চিমপার্শ্বে অবস্থিত। যা বিদ্যালয়ের কার্যালয় থেকে দেখা যায় না। শিক্ষকদের নিষেধ স্বত্ত্বেও অনেক ছাত্র ক্লাস শুরু বা টিফিনের সময় সিঁড়িতে উঠে পড়ে। দোতলার দেয়াল ধসে পড়ার পাশাপাশি কিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দেয়ালের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ধসে পড়ে যেকোনো সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মারাত্মক আঘাত পেতে পারে। এদিকে ভি.জে উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবন অপসারণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় একাধিকবার আলোচিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. শফিউদ্দিন সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি কৈলাশ কামিনী ভবনের অবস্থা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরিদর্শন শেষে প্রণীত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন যে, ভবনটি দেয়াল, ছাদ ও প্লাস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ছাদের ঢালায় খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ছাদের রড মরিচা ধরে ক্ষয় হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ছাদ ধসে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় ভবন ভেঙে ফেলা ছাড়া মেরামতের কোনো বিকল্প নেই। পুরাতন ভবনটির ছাদ ভেঙে পুনরায় ছাদ নির্মাণ সমিচীন হবে না। তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবেও কোনো লাভবান হওয়া যাবে না। এছাড়া ভবনটি বিদ্যালয়ের মাঝখানে হওয়ায় ছাত্রদের খেলাধুলা ,এমনকি অ্যাসেম্বলি করারও সমস্যা হয়।