পল্লী বিদ্যুতের বাতি জ্বালিয়ে ১৫শ টাকা বকেয়ার দায়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলহাজতে তিতুদহের ইউসুফ!

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের বাতি জ্বালিয়ে বিলখেলাপী মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ স্কুলপাড়ার হতদরিদ্র ইউসুফ দীর্ঘদিন ধরে জেলহাজতে। তার স্ত্রী লাল বানু বিল পরিশোধ করে চুয়াডাঙ্গার মানবতার সহযোযিগতায় পল্লী বিদ্যুতের এ দফতর থেকে ও দফতরে ছুটেও কুলকিনারা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেছেন, বাড়ি যখন বিদ্যুত সংযোগ নেয়া হয় তখন ছিলো একান্নবর্তী পরিবার। যেহেতু বিদ্যুত নেয়া হয় ইউসুফ আলীর নামে সেহেতু বিদ্যুত বিল বাবদ বকেয়ার দায় পড়ে তারই ওপর। কবে কখন মামলা হয়েছে তা বুঝতেই পারিনি। ২০০৭ সালের তিন মাসের বিদ্যুত বিল বাবদ ১৫শ টাকা বাকি পড়ে। এ বিল বকেয়ার দায়ে পল্লী বিদ্যুতের ঢাকাস্থ কার্যালয় ঢাকার স্পেশাল মেট্রোপলিটন আদালতে বিল খেলাপির মামলা করে। ওয়ারেন্ট হয়। এর ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১ মে ইউসুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকেই জেলহাজতে ইউসুফ।

লাল বানু আরো বলেছেন, গ্রেফতারের সময় ভেবে ছিলাম কি না কি মামলা। খোঁজ নিয়ে পরে শুনি বিদ্যুত বিল বাকির মামলা। বিদ্যুতের বকেয়া বিল ১৫শ টাকা পরিশোধ করি। কোথায় যাবো কী করবো ভেবে না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়াস্থ মানবতার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করি। তার সহযোগিতায় মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে ঘুরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য ঘুরতে শুরু করি। মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের চুয়াডাঙ্গা হাতিকাটার কার্যালয়ে আবেদন করেছি। গত ১৫ দিনে সে আবেদনও সাড়া মেলেনি। এখন শুনছি পল্লী বিদ্যুতের ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। কীভাবে যবো? স্বামী জেলহাজতে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। এসব কষ্টের কথা আমি কার কাছে বলবো?