আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গায় ডাকাত সন্দেহে আটক দুজন মুক্ত : হাসপাতালে ভর্তি

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা গ্রামের ডাকাত সন্দেহে আটক দুজন থানা থেকে মুক্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নতিডাঙ্গা ও গোয়ালবাড়ি গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনার অবসান হয়নি। তবে ডাকাত সন্দেহে অভিযুক্ত মতিন অভিযোগ করেছেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে জমি বিক্রির টাকা ছিনতাই করে উল্টো ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ।

জানা গেছে, গতপরশু মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গার গ্রামের মস্তবারির ছেলে মতিন (৩৫) ও একই গ্রামের রুস্তমের ছেলে নসিমনচালক আরিফুল (৩০) নতিডাঙ্গা বাজার থেকে মন্টু খোড়ার কাছ থেকে গাঁজা কেনে। নতিডাঙ্গার গ্রামের দোয়াত খায়ের বাড়ির নিকটে পানবরজে গাঁজা সেবন করার সময় নতিডাঙ্গা গ্রামের আতিয়ার ও আনারুল মোটরসাইকেল থামিয়ে এখানে কারা জানতে চাইলে বাগবিতণ্ডা বাঁধে। এ সময় তারা মোবাইলফোনের মাধ্যমে গ্রামের খবর দিলে গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে তাদের আটক করে গণধোলাই শেষে নতিডাঙ্গা গ্রামের একটি বাড়িতে আটকে রাখে। রাতেই সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নেয়। গতকাল গাঁজা সেবনের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজনকে ৩শ টাকা করে জরিমানা করেন। গতকাল বিকেলে আহত অব্স্থায় দুজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ ব্যাপারে মতিন অভিযোগ করে জানান, গতপরশু নতিডাঙ্গা বাজার থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে করে বাড়ি ফেরার পথে নতিডাঙ্গা গ্রামের মৃত জুলফিকারের ছেলে কফিল, মৃত সিদ্দিকের ছেলে আকুব্বার, মৃত মিয়াজানের ছেলে আতিয়ার গাব ও মজু মণ্ডলের ছেলে আনারুলসহ ১০-১২ জন তাদের মোটরসাইলের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কাছে থাকা জমি বিক্রির ৫০ হাজার টাকা মোবাইলফোন ছিনতাই করে। চিৎকার করলে নতিডাঙ্গা গ্রামের লোকজন ছুটে এলে উল্টো আমাদের ডাকাত বলে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ডাকাত সন্দেহে দুজনকে আটক নিয়ে নতিডাঙ্গা ও গোয়ালবাড়ি গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।