কলেজছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য জেলে

 

যশোর প্রতিনধি: যশোরে কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণ ও অপহরণ করায় পুলিশ কনস্টেবল আপনকে (২৯) আটক হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে যশোর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাকে অপহরণ মামলা দেয়া হলেও ধর্ষণ মামলা সংযুক্তের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করছে পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থানায় কর্মরত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর এমএম কলেজে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। তার বাড়ি চৌগাছা উপজেলায়। পুলিশ তাকে খুলনার দিঘলিয়া এলাকার একটি বাজার থেকে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে উদ্ধার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ কনস্টেবল আপনকে শনিবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থানা থেকে আটক করা হয়। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আলমগীর কবির জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে দু দিন সময় লাগবে। পুলিশ ও বাদী সূত্র মতে, ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ৫ মার্চ তাকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার নামক স্থানে নিয়ে যায় কনস্টেবল আপন (২৯)। এরপর থেকে ওই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর গত ১০ মার্চ চৌগাছা থানায় মামলা করেন তার পিতা। এরপর মোবাইল ট্র্যাকিঙের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে খুলনার দিঘলিয়া এলাকার একটি বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করে। মেয়েকে উদ্ধারের পরে ঘটনা শুনে ওই রাতেই অভিযুক্ত পুলিশকে আটক করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌগাছা থানার এসআই নাহিয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ মামলায় আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে উদ্ধার ছাত্রীর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে অপহরণ মামলার সাথে ধর্ষণ মামলাযুক্ত হবে।