মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ঢোলমারী গ্রাম থেকে বোমা ফাটিয়ে ভূষিমাল ব্যবসায়ী এরশাদ আলীকে (৩৫) অপহরণ করা হয়েছে। এ সময় বোমাঘাতে নসিমনচালক রবিউল ইসলাম (২৫) ও সন্ত্রাসীদের মারধরে আরো দুজন আহত হন। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শেষ রাতে মুক্তিপণে ব্যবসায়ীর মুক্তি মিলেছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢোলমারী গ্রামের মিয়াজান আলীর ছেলে ভূষিমাল ব্যবসায়ী এরশাদ আলী গ্রামের ঈদগা মোড়ে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। এ সময় কয়েকজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী এসে তাকে ঘিরে ধরে। আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের লক্ষ্য করে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ হলে প্রতিরোধকারী লোকজন পিছু হটে। এ সুযোগে এরশাদ আলীকে অপহরণ করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। বোমাঘাতে একই গ্রামের নসিমনচালক রবিউল ইসলাম (২৫) আহত হন। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় সন্ত্রাসীরা একই গ্রামের খলিলুর রহমান (২৮) ও একই মোড়ের ভূষিমাল ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দীনকে মারধর করে।
নাম প্রকাশ না করায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় জনগণ জানায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়ে এরশাদকে তুলে নিয়ে যায়। তবে নাটকীয় পরিস্থিতির পর শেষ রাতে ব্যবসায়ীকে মুক্তি দেয় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের পর তার পরিবারের একটি মোবাইল নম্বরে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সে মতে পরিবারের লোকজন ওই এলাকার একটি মাঠে রাতে টাকা নিয়ে যায়। টাকা নিয়ে এরশাদকে মুক্তি দেয় সন্ত্রাসীরা। তবে পুরো বিষয়টি পুলিশের নজর এড়িয়ে করতে বাধ্য হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে জানালে তাদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে এলাকার বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আব্দুস সালেক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরিত বোমার আলামত উদ্ধার করে। অপহৃত এরশাদকে উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আটকে সাঁড়াশি অভিযান চলছিলো। শেষ রাতে তিনি ছাড়া পান বলে পুলিশ জানতে পারে। তবে এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি ব্যবসায়ী এরশাদ।