চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ এলাকায় তাণ্ডব চালানো সার্কাসের উন্মত্ত হাতি এখন আলমডাঙ্গায়

মালিকপক্ষ থেকে ক্ষতিপরণ দেয়ার আশ্বাস

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ খেজুরতলা ও গোষ্টবিহার গ্রামে তাণ্ডব চালানো সার্কাসের উন্মত্ত হাতি এখন আলমডাঙ্গা এলাকায় রয়েছে। গোষ্টবিহার ও খেজুরতলা গ্রামে হাতি কর্তৃক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন হাতি মালিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাজু।

জানা গেছে, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গোষ্টবিহার ও খেজুরতলা গ্রামে দি ইয়াং স্টার সার্কাসের একটি নিয়ে মাহুত সুমন খাদ্য সংগ্রহের জন্য বের হন। কিছু সময়ের জন্য হতিটিকে বেধে সুমন খাবার খেয়ে পুনরায় হাতিটির বাঁধন ছাড়তে গেলে সে অস্বাভাবিক আচরণ করে। পরিস্থিতি বুঝে মাহুত সুমন হাতিটি ছেড়ে দিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করেন। উন্মত্ত হাতিটি গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাতে থাকে।

নারী-পুরুষ ও শিশুরা এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করে। তবে এলাকাবাসী আগুন জ্বালিয়ে এবং থালা-বাসন বাজিয়ে নিজেদেরকে রক্ষার চেষ্টা করে। এ সময় গোষ্টবিহার গ্রামের চান মিয়ার একটি পানবরজ পয়মাল করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকার পানের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়া অনেক মানুষের ভুট্টাক্ষেত, ধান, গাছগাছালিসহ বিভিন্ন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি করে উন্মত্ত দাঁতালটি। পার্শ্ববর্তী খেজুরতলা গ্রামের কাওছার ও ইসলামের ৩টি টিউবওয়েল শুঁড়ে লাগিয়ে উপড়ে ফেলে। তার ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আখতার হোসেন প্রশাসনকে জানান। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশানের কর্মকর্তারা জরুরিভাবে সেখানে উপস্থিত হন এবং হাতিটিকে চোখে চোখে রাখার জন্য নির্দেশ দেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে মাহুত সুমন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হাতিটির নিয়ন্ত্রণ নেন গাছের সাথে বেধে রাখেন। এক পৱ্যায় রাত ২টার দিকে সুমন হতিটিকে আলমডাঙ্গা এলাকায় নিয়ে যায় বলে স্থানীয় প্রশাসন জানায়।

এদিকে হতির মালিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাজু তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে বলেন, আলোচনা করে হতি কর্তৃক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে। বর্তমানে হাতিটি এখন স্বাভাবিক আছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।