চুয়াডাঙ্গার গবরগাড়ায় পুলিশ পরিচয়ে মুখোশধারী ডাকাতদলের হানা : গণডাকাতি

পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট : মহিলাসহ আহত ৩

 

বেগমপুর প্রতিনিধ: চুয়াডাঙ্গা সদরের গবড়গাড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ৮টি বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাতদল দীর্ঘসময় ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে। বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা সোনার গয়নাগাটিসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এ সময় মহিলাসহ ৩ জনকে মারপিটও করেছে ডাকাতেরা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গবরগাড়া পুরাতনপাড়ায় গতপরশু বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পরিচয়ে মুখোশধারী একদল ডাকাত হানা দেয়। এ সময় তারা ওই পাড়ার ৮টি বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দীর্ঘসময় ধরে লুটপাট চালায়। এ সময় ডাকাতদল জয়নাল মিস্ত্রির ছেলে সবের আলীর বাড়ি থেকে দু হাজার টাকা, ১ ভরি সোনার গয়নাগাটি, ১০ ভরি রুপোর গয়না, রুস্তম আলীর ছেলে নুরু মণ্ডলের বাড়ি থেকে দেড় হাজার টাকা, আড়াই ভরি সোনার গয়না, আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে হাবিবুল্লাহ ও বসিরের বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা, ১ ভরি সোনার গয়না, নুর মোহাম্মদের ছেলে লালু কবিরাজের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইলফোন, ঘড়ি, মোতালেবের ছেলে আসাবুলের বাড়ি থেকে ১ ভরি সোনার গয়না, আলী হোসেনের ছেলে ফারুকের বাড়ি থেকে দু হাজার টাকা ১টি লাইট ও সিদ্দিকের ছেলে নুর ইসলামের বাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা গয়নাগাটিসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ডাকাতেরা সূর্যবানু, ফুলবান ও ফারুখ হোসেনকে মারপিট করে আহত করে। দীর্ঘসময় ধরে ডাকাত দল তাণ্ডব চালিয়ে থাকলেও অস্ত্রশস্ত্র দেখে প্রাণভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। এদিকে তিতুদহ ইউনিয়নে একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ একটি ঘটনারও কুল-কিনারা করতে পারেনি। এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের এএসআই ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটু ব্যস্ত আছি পরে কথা বলেন।