বরিশালে বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রদল ও জাসাস নেতা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো মামলার দুই আসামি নিহত হয়েছেন। এরা হলেন- নগরবাড়ী গ্রামের মতিউর রহমান হাওলাদারের ছেলে টিপু হাওলাদার (৩৫) ও হোসেন মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা (৩০)। টিপু কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও কবির জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, তারা দু’জনই এলাকায় ভদ্র ও শান্ত ছেলে হিসেবে পরিচিত। পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় তাদের গুলি করে হত্যা করেছে। কোনো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি নিশ্চিহ্ন করার জন্য এটি করেছে পুলিশ। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তবে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের বাইপাস সড়কে বুধার এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া পেট্রলবোমা ও গুলিতে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও কনস্টেবল রাজু আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি পেট্রলবোমা, একটি চাপাতি, একটি ধারালো চাকু, দুটি রামদা ও বল্লম উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত দু’জন ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার বাইপাস সড়কের কুয়াতিরপাড়ে একটি ফলবাহী পিকআপভ্যানে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা মামলার ১ ও ৩ নম্বর আসামি। মনিরুল ইসলাম আরও জানান, ঢাকায় আত্মগোপনে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ওয়াজপুরে মাহাবুব আলমের বাড়ি থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম মামলার ৩ নম্বর আসামি টিপুকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি মতে আত্মগোপনে থাকা ওই মামলার প্রধান আসামি কবির মোল্লাকে আটক করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি মতে শুক্রবার রাত সোয়া ২টার দিকে মজুদ করা পেট্রলবোমা ও অস্ত্র উদ্ধার এবং আত্মগোপনে থাকা অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একটি দল জোবারপাড় যাচ্ছিল। পথে বুধার এলাকায় পৌঁছলে ওঁৎ পেতে থাকা পলাতক অপর আসামিরা সড়কে গাছ ফেলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে ও গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কবির ও টিপু এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, টিপুর বিরুদ্ধে বিএনপি মনোনীত সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের ওপর উপজেলা সদরে প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলার মামলাসহ থানায় ২টি মামলা ও একটি জিডি রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।