পিতা সাত্তারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী-খুনি ও লুটেরা আখ্যা দিয়ে চুয়াডাঙ্গার রোকেয়া খাতুনের কোটচাঁদপুরে সংবাদ সম্মেলন

 

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: পিতাকে সন্ত্রাসী, খুনি ও লুটেরা আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সুজায়েদপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের বড় মেয়ে রোকেয়া খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রেসক্লাব কোটচাঁদপুরে স্বামীকে সাথে নিয়ে পিতার বিরুদ্ধে রোকেয়া খাতুন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

মেয়ে রোকেয়া খাতুন তার পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, আমার পিতা আব্দুস সাত্তার মণ্ডল চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সুজায়েদপুর গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৫ সালের দিকে বেশ কয়েকটি হত্যা, ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার এড়াতে সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে যশোর শার্শা থানার রেলবস্তিতে আশ্রায় নিয়ে সেখানে একটি চায়ের দোকান দিয়ে বসবাস শুরু করে। সেখানে কিছুদিন পর ওই এলাকার বুজতলা গ্রামের অর্থ বিত্ত মোসা খানের সাথে আমার পিতার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে আমার সাথে মোসা খানের বিয়ে দেন। বিয়ের পর পিতা আব্দুস সাত্তার আমার স্বামী মোসা খানকে অনুরোধ করেন যে, মামলার কারণে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছি না তুমি তদবির করে মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে দাও খরচ যা হয় আমি বাড়িতে যেতে পারলে দিয়ে দেব। এ সময় আমার স্বামী মোসাখান সরল বিশ্বাসে মামলার বাদীদের কাছে যেয়ে প্রায় আট লাখ টাকা খরচ করে ২০০৩ সালের দিকে মামলা গুলি নিষ্পত্তি করেন। পরে পিতাবাড়ি এসে আমার স্বামীর অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিতে পরিকল্পনা করে। যা আমি ও আমার স্বামী বুঝে উঠতে পারেনি। পিতার পরিকল্পনা অনুযায়ী মামলার খরচের টাকা না দিয়ে মৌখিকভাবে বাড়ির পাশে চার শতক জমি দেন এবং ওই জমিতে বাড়ী করে শার্শা থেকে চলে আসার জন্য অনুনয় বিনয় করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমার স্বামী রাজি হয়ে পিতার মৌখিক ভাবে দেয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সুজায়েদপুর গ্রামে আমরা চলে এসে বসবাস শুরু করি। কিছু দিন পর ওই বাড়ির পাশে আমার স্বামী মোসা খান সাড়ে তিন বিঘা জমি ক্রয় করেন।

এদিকে আমার স্বামীর আট লাখ টাকা পরিশোধ না করে উল্টো আমার পিতা বিভিন্ন ছলচাতুরি করে আমার স্বামীর অর্থকরি হাতানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এটা আমরা বুঝতে পেয়ে পিতার সাথে সম্পর্ক ছেদ করি। এরপর আমার পিতার মৌখিক দেয়া জমিতে করা বাড়ি থেকে জোরপূর্বক আমাদেরকে নামিয়ে দেয়। পরে আমার স্বামী আবু মোসা খান পাশেই ক্রয়কৃত সাড়ে তিন বিঘা জমি ওপর বাড়ি নির্মাণ করে। বর্তমানে আমরা সেই বাড়িতে বসবাস করে আসছি। এর পরও আমার পিতা আমার মেঝে বোনাই আবুজার মোল্লা ও মেজ ভাই আলিমকে সাথে নিয়ে আমার ৩ সন্তানসহ আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে লেখা পড়া করছে। ছোট ছেলে ৯ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

রোকেয়া খাতুন বলেন, ইতোমধ্যেই আমার স্বামীর সম্পদ কুক্ষিগত করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চাপানো হয়েছে। আমার পিতা আব্দুস ছাত্তার মণ্ডল, ভাই আব্দুল আলিম এবং মেজ বোনাই আবুজার চরমপন্থি দলের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় ওই অঞ্চলের বিভিন্ন হত্যা, ডাকাতি ও চুরির ঘটনার নায়ক যা তদন্ত করলে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে আসবে। আমার সন্ত্রাসী পিতা, ভাই ও বোনাইদের কারণে বর্তমানে আমি আমার স্বামী সন্তানদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এ নিরাপত্তাহীনতার হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচানো জন্য সাংবাদিক সমাজের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশানের অতিসত্ত্বর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।