কবিরাজি ওষুধ খেয়ে বিপত্তি : অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ

দামুড়হুদার কোমরপুরের অবিবাহিত সাদিয়ার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফসল হত্যা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা কোমরপুরের ছাত্রী পরিচয়দানকারী অবিবাহিত সাদিয়ার (১৯) বিরুদ্ধে অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বিপাশা আলট্রাসনোগ্রাফি ও মডার্ন ক্লিনিকে নেয়ার পরপরই গোপনে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর পর থেকে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো বলেও এলাকাসূত্রে জানা গেছে। সে উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া ওরফে তরুলা (১৯) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছিলো। গত ৩-৪ মাস ধরে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে প্রতিবেশীরা জানতে চাইলে অ্যাপেন্ডিসাইট হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়। যতো দিন যায় সাদিয়ার দৈহিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে দিন দশেক আগে সাদিয়ার পরিবারের লোকজন গোপনে কবিরাজি ওষুধের মাধ্যমে তার অবৈধ গর্ভপাতের চেষ্টা করে। গত শনিবার রাতে ওই কবিরাজি ওষুধ খেয়ে সাদিয়ার অবৈধ গর্ভপাত করাতে গেলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে পরদিন ভোরে অসুস্থ অবস্থায় গোপনে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বিপাশা আলট্রাসনোগ্রাফি ও মডার্ন ক্লিনিকে। সে চেকআপের পরপরই গোপনে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর পর ওই দিন থেকে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো বলেও এলাকাসূত্রে জানা গেছে। বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে গোপনে নিয়ে আসা হলেও লোক জানাজানির ভয়ে তাকে কোনো এক আত্মীয়বাড়িতে আত্মগোপনে রাখা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন জানান, ওই সাদিয়া একটি নষ্ট প্রকৃতির মেয়ে। সে ছাত্রী না হয়েও নিজেকে ছাত্রী পরিচয় দিয়ে বেড়ায় এবং এলাকার বিভিন্ন উঠতি বয়সী ছেলেদের সাথে টাকার বিনিময়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছে। কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বছর দুয়েক আগে দামুড়হুদার এক যুবকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলাও করে। এভাবে সে এলাকার বহু ছেলেকে সর্বস্বান্ত করেছে। সে একাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করে। অবৈধ গর্ভপাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।