বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়েকে হারালো দ.আফ্রিকা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপের হট ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬২ রানে হেরে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৪০ রানের জবাবে খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত ২৭৭ রান করে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। যদিও গতকালকের ম্যাচে একটা অঘটনের আভাস পাওয়া গিয়েছিলো। ৩৪০ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিলো জিম্বাবুয়ে। হতাশ করেনি নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা মাসাকাদজা। ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারালেও মাসাকাদজার ৭৪ বলের ৮০ রানের ইনিংসটা স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো জিম্বাবুয়েকে। তবে মাসাকাদজা এবং চিবাবার দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রানের পার্টানারশিপ দুঃশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলো প্রোটিয়াদের। কিন্তু দলীয় ১৯১ রানে মাসাকাদজা আউট হয়ে যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। দলীয় ২১৪ রানের মাথায় টেইলর ৪০ রান করে আউট হওয়ার পর আর কোনো ব্যাটসম্যানই লড়াই করতে পারেনি ফলে অঘটনও ঘটাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টস জিতে জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।  ডেভিড মিলার এবং ডুমিনির পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড ২৫৬ রানের পার্টনারশিপে প্রোটিয়ারা চার উইকেটে ৩৩৯ রান জমা করে স্কোর বোর্ডে। জিম্বাবুয়ের পেসার তিনাশে পানিয়াঙ্গারা এবং চাতারা ২১ রানের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার দু ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দেন। দু উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা পরিস্থতি সামাল দেয়ার জন্যে দেখে শুনে খেলতে থাকে। কিন্তু ফাফ ডু প্লেসিস দলীয় ৬৭ রানে এবং অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ৮৩ রানে ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায়  বিশ্বকাপের হট ফেভারিটরা। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার এবং ডুমিনির ১৭৮ বলে ২৫৬ রানের পার্টানারশিপটা পাল্টে দেয় ম্যাচের রং। দুই ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়ের বোলিং অ্যাটাককে একেবারেই তছনছ করে দেয়। ৪০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল চার উইকেটে ১৯৩ রান। শেষ দশ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান যোগ করেনেআরও ১৪৬ রান। মিলার ৯২ বলে  ১৩৮ এবং ডুমিনি ১০০ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।