চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও আলমডাঙ্গায় কলেজ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা

আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যাসহ জ্বালাও পোড়াও বন্ধ না করলে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে খালেদা জিয়ার পোষ্য ক্যাডার জামায়াত-শিবির হরতাল অবরোধের নামে নৃশংসতা শুরু করেছে। পেট্রোলবোমা মেরে একের পর এক সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। এদের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে হবে।

এক প্রেসববিজ্ঞপিতে জানানো হয়েছে, ‌সারা দেশব্যাপি বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের জ্বালাও পোড়াও অবৈধ হরতালের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সরকারি কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিক ইকবার স্বপনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্ট করেছে। পেট্রোলবামা মেরে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। আন্দোলনের নামে এসব জ্বালাও পোড়াও বন্ধ না করলে ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। উচিত শিক্ষা দেয়া হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়ির সহসভাপতি রুবায়েত বিন আজাদ সুস্তির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাশেদ, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহসম্পাদক ইমরান হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক শাহাবুল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকতার হোসেন, স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক টিটোন, অর্থ সম্পাদক রিমন, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, হালিম, জনি, ডাবলু, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান, শুভ, মনি, জেলা ছাত্রলীগের নেতা রাজীব, রুবেল, মানা, রানা, ফয়সাল, রনি, শিমু, কাদের, মোমিন, খালিদ মাহমুদ, লিপু, জীম, সোহেল, টোকন, রানা, মালেক, ফিরোজ, ঝলক, রোমেল, ইব্রাহীম, সম্রাট, কোলিন্স, জুয়েল, রাসেল প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অনিক জোয়ার্দ্দার বলেন, দেশে যখন অর্থনৈতিকসহ সকল কিছুর অবস্থা ভালোভাবে চলছে ঠিক তখনি তথা কথিত ঘোষিটি বেগম খাদেলা জিয়ার পোষ্য ক্যাডারবাহিনী জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সারাদেশে হরতালের নামে যাবাহনের অগ্নিসংযোগ করে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারছে। তাই তিনি বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারবাহিনীকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, আন্দোলনে নামে আর জ্বালাও পোড়াও করতে দেয়া হবে না। তাদেরকেও ওই একইভাবে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ করা হবে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, হরতাল-অবরোধে পেট্রোলবোমায় মানুষ পোড়ানোর প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খোদা রুবেল। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জোনায়েদ ইমতিয়াজ জুলফিকার, সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম আনন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুস সাফা প্লাবন। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।

আলমডাঙ্গা ব্যরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের অবৈধ হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে মিছিল ডিগ্রি কলেজ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আল-তায়েবা মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, শাবান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা শাহিন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক তামিম, উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোহর। কলেজ ছাত্রলীগের সম্পাদক সেলিম রেজা তপনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা টুকুল, রনি, সুমন, বাপ্পি, হাসান, টিটন, রকি, জাহিদ, লিখন, রিপন, রুবেল, টুটুল, শরিফ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগ করে, জনগণের জানমালের ক্ষতি জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। নৈরাজ্য তাণ্ডব ও সন্ত্রাসের রাস্তা পরিহার করে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে না এলে এদেশের বীর জনতা তাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে এসব নৈরাজ্য প্রতিহত করবে।