ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় রশিদ (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতাধিক শটগানের গুলি ছোড়ে। গতকাল সোমবার বড়দা গ্রামে সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয় বড়দা গ্রামের মাঠে। উভয়পক্ষ ঢাল, সড়কি, রামদা নিয়ে মুখোমুখি সহিংসতা চালায়। এতে আহত হয় ১৫ জনের বেশি, তাদেরকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে বড়দা গ্রামের আব্দুর রশিদ সংঘর্ষে ইটের আঘাতে মারা যান বলে দাবি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে রশিদ সংঘর্ষে না স্ট্রোক করে মারা গেছেন তা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজন মিলন জানান, প্রতিপক্ষ নজরুল গ্রুপের কর্মীরা তার চাচা রশিদকে হত্যা করেছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ হাসেম খান জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া রশিদ নামে একজন মারা গেছেন। স্ট্রোক না ইটের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।