আন্তর্জাতিক মহলও চাচ্ছে অবিলম্বে নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল চাচ্ছে অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটেরও একই দাবি। নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার সাবেক মেয়র একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন। বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি উত্তরণ প্রসঙ্গে খোকা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসলেই কেবল হরতাল-অবরোধসহ সব ধরনের কর্মসূচির অবসান ঘটতে পারে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া যে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, এর ভিত্তিতে আলোচনা সম্ভব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। প্রধানমন্ত্রী জনমতকে উপেক্ষা করে দেশব্যাপি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন উল্লেখ করে সাদেক হোসেন খোকা আরো বলেন, কালকেই যদি প্রধানমন্ত্রী সংলাপে আসেন, তাহলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে সেই সংলাপ সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার হতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সংলাপের পথ ধরে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম হতে হবে এবং গ্রেফতার সব নেতাকর্মীকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই হরতাল-অবরোধসহ যাবতীয় কর্মসূচির অবসান ঘটতে পারে। সংলাপের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, শীর্ষ পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার আগে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। বিরোধী জোটের প্রতিনিধি ছাড়াও ওই আলোচনায় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আলোচনা সরাসরি ও উন্মুক্ত পরিবেশে হতে পারে। চলমান সহিংসতার জন্যে বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তিনি (জয়) হচ্ছেন নতুন জেনারেশনের মানুষ এবং বিদেশে লেখাপড়া করেছেন। অবস্থানও করছেন এই আমেরিকাতেই। তবে মাঝেমধ্যে মাকে দেখার জন্যে ঢাকায় যান, এটি খুবই ভাল লক্ষণ। ঢাকায় অবস্থানকালে বিশেষ কিছু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় তিনি কিছু কথা বলেন- যাকে আমি বিবেচনায় নিয়ে তার সমালোচনা করতে চাই না। বিএনপিতে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি ‘নরমপন্থি’ দল আখ্যায়িত করে খোকা বলেন, আমরা কখনোই সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। সহিংসতা যা হচ্ছে সেজন্য দায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।