অবৈধভাবে পেট্রোল বিক্রি বন্ধে দামুড়হুদা পুলিশের জোর তৎপরতা

দামুড়হুদা অফিস/প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরের বিভিন্ন হাটবাজারের পাশাপাশি ছোট বড় রাস্তার পাশে বোতলে ভোরে পেট্রোল বিক্রির রমরমা বাণিজ্যের অধিকংশই বন্ধ হয়েছে। বিশেষ করে দামুড়হুদা উপজেলায় পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ তদারকিতে খোলা স্থানে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালকদের ফিলিং স্টেশনে ছুটে তেল কিনতে হলেও পেট্রোলবোমার ঝুঁকি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে বলে মন্তব্য অনেকের।

জানা গেছে, পেট্রোল দাহ্য পদার্থ। খুব ঝুঁকিপূর্ণ, সামান্য একটু অসাবধানতার কারণে মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এ কারণে পূর্ব থেকেই খোলা স্থানে পেট্রোল বিক্রি নিষিদ্ধ। আইন প্রয়োগে তেমন তৎপরতা না থাকায় তা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। ঝুঁকিপুর্ণ এ দাহ্য তেলের ব্যবসা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাঙের ছাতার মতো আনাচে-কানাচে। উপজেলার জনবহুল সড়কের ধারে দোকানিরা দোকানের সামনে টেবিল ভিড়িয়ে পরিত্যক্ত পানীয় বোতলে পেট্রোল তেল ভরে সাজিয়ে রেখে বিক্রি শুরু করেন। সম্প্রতি দেশজুড়ে পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে খোলা স্থানে পেট্রোল বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। মাঠপর্যায়ে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। দামুড়হুদা বাজারের খুচরা তেলব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, পুলিশ প্রশাসন এভাবে পেট্রোল তেল বিক্রি করতে নিষেধ করেছে। এ কারণে বাজারে পেট্রোল শুন্য। তবে কেরোসিন, ডিজেল বিক্রিতে পুলিশের কোনো বাধা নেই। এলাকার সুধীমহল মনে করে, হাট-বাজারে পরিত্যক্ত নানা ধরনের কোমলপানীয় বোতলে পেট্রোল বিক্রি করার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। হাট-বাজরের অবৈধভাবে জ্বালানি তেল পেট্রোলের ব্যবসা বন্ধ করতে প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করায় জনবহুল সড়ক ও তার আশপাশ এলাকা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে। সেই সাথে পেট্রোলের অপব্যবহারও দিনদিন কমতে শুরু করবে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনত পেট্রোল ব্যবসা করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হয়। বিস্ফোরক লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করার বিধান আছে। হাট-বাজার ও বিভিন্ন জন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রকাশ্য বোতলে ভরে বিক্রির জন্য জ্বালানি তেল রেখে বা হাতে বহনযোগ্য কন্টেইনারে রেখে এ দাহ্য তেল বিক্রি করা অবৈধ। বর্তমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য বোতলে ভরে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।