হোসেনপুরে দু পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ : আহত ৫

আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামার নিয়ে বিরোধের জের

 

স্টাফ রির্পোটার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপেজলার আইলহাস ইউনিয়নের ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামারের জমি দখল নিয়ে হোসেনপুর গ্রামের দু গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত তাহের উদ্দীনের ছেলে আইনাল হোসেনকে (৫০) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষিতে দু পক্ষেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। সকালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আইলহাস ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসসহ বসতবাড়ি ও মুদিদোকানে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়নের ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামারের বেদখলে থাকা ৩৮ একর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হোসেনপুর গ্রামের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে যুবলীগের অফিসসহ বসতবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সরেজমিনে গেলে হোসেনপুর গ্রামের মৃত মুন্সি নূর উদ্দিনের ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সেক্রেটারি রেজাউল জানান, গতপরশু বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ঘোলদাড়ি বাজারের যাওয়ার সময় একই গ্রামের ইদ্রিস ও তার লোকজন কেরুর মাঠে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ এনে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এ সময় গ্রামের রেজাউলের লোকজন ও ইদ্রিস গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ইদ্রিস গ্রুপের ৩ জন আহত হন। তাদের উদ্বার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রেজাউলের অভিযোগ কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই ইদ্রিস বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে।

এ ব্যাপারে ইদ্রিস পক্ষের লোকজন জানান, আইলহাস ইউনিয়নের আইলহাস ইউনিয়নের ভিজিডির কার্ড নিয়ে ওয়ার্ড যুবলগের সভাপতি রেজাউল ও ইদ্রিসের মধ্যে গতপরশু মারামারিতে রেজাউলের লোকজন ৩ জনকে আহত করে। এরই জের ধরে গতকাল ৬টার দিকে গ্রামের রেজাউলসহ ১৫/২০ জনের একটি বাহিনী নিয়ে প্রথমে ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। অফিসের পাশেই কাবিলের ছেলে রানার মুদিদোকানে হামলা চালিয়ে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলাকারীরা গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে আইনালকে পিটিয়ে আহত করে রান্নাঘর ও গরুর গোয়ালে আগুন ধরিয়ে দেয়। আব্দুল মালেকের বাড়ি থেকে একটি মোবাইলফোনসহ বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও মালেকের স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। ইদ্রিসের অভিযোগ বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের দিয়ে যুবলীগের অফিস ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করিয়েছে। এ ব্যাপারে রেজাউল অভিযোগ করে জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। নিজেরাই যুবলীগের অফিস ও বাড়িতে আগুন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আমরা কেউ যুবলীগের অফিস ও দোকানসহ বসতবাড়িতে হামলা চালায়নি।

এলাকাবাসী জানায়, হোসেনপুর গ্রামবাসী অনেক দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সাথে মামলা চলে আসছে। গ্রামের সবাই চাদা দিয়ে সেই মামলা চালিয়ে আসছে। কেন এবং কী কারণে গ্রামে দুটি গ্রুপ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।