মরিয়ম শেলী: অর্থনৈকিভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন চুয়াডাঙ্গা জননী ফুডের কর্ণধার মোছা. সুফিয়া খাতুন লতা। গত শনিবার খুলনা বিভাগীয় কমিশনার তার মাথায় এ মুকুট পরিয়ে দেন। সেই সাথে হাতে তুলে দেন একটি ক্রেস্ট ও নগদ ১০ হাজার টাকা।
জানা যায়, অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সফল নারীদের সম্মামনা জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর শ্রেষ্ঠ জয়িতার অন্বেষণ শুরু করেন। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৪ উদযাপনে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমে লতা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে যান। সেখানে ১০ জেলার ৫০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে খুলনা জেলার তিনজন, সাতক্ষীরা একজন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার জননী ফুডের কর্ণধার লতা এ সম্মান অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এরপর দেশের সকল বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের মধ্য থেকে দেশসেরা জয়িতা নির্বাচন করা হবে।
১৯৯৮ সালে মাত্র ৫০ টাকা পুঁজি নিয়ে জননী ফুডের যাত্রা শুরু। হাতে তৈরি মাত্র এক প্রকার কেক তৈরি করে বাড়ির আশ-পাশ দোকানে ছোট শিশু-পুত্রদের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হওয়া জননী ফুড বর্তমানে ২৫/৩০ রকমের বিস্কুট ও কেক উৎপাদন করছে। এ সকল পণ্য বিক্রি করছে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরাসহ বেশ কিছু জেলায়। তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য সুফিয়া খাতুন লতা খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা হওয়ার গৌরবের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা ডেভেলপমেন্ট ফোরামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠন থেকে সম্মানিত হয়েছেন।
মোছা. সুফিয়া খাতুন লতা জানান, তিল তিল করে কারখানাটি দাঁড় করিয়েছি। পাশে ছিলো আমার দু ছেলে রনি ও সনি। পাশাপাশি ছেলে দুটি গ্রাজ্যুয়েট শেষ করেছে। একটি ছেলে চাকরি করছে। এখন আমার স্বপ্ন কারখানার জন্য অটোমেটিক মেশিন কেনা। এর জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থের। নিজের সামর্থ নেই। সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পেলে তা সম্ভব।