দর্শনা হরিজন সম্প্রদায়ের দাবি আদায় ও সন্টুর জমি ফেরত পেতে দর্শনা প্রেসক্লাবে পৃথক বাদিক সম্মেলন

দর্শনা অফিস: সংবিধানিক ও মানবধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দর্শনা হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে। এ দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে হরিজন সম্প্রদায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ বাঁশফোঁড় হরিজন সম্প্রদায় পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শ্রী রম্ভুনাথ বাঁশফোঁড় লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংগ্রামে হরিজন সম্প্রদায়ের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। দেশ স্বাধীনের ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো আমরা দেশের সাংবিধানিক অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত রয়েছি? সংবিধানে ১৯ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সকল নাগরিকের সমতা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। কিন্তু আজ দর্শনায় হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা এবং তাদের শিক্ষিত সন্তানরা সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে রয়েছে বঞ্চিত। দুঃখজনক হলেও সত্যি তারা সেলুনে চুলদাড়ি কামানোসহ কোনো হোটেল, রেস্তোঁরা ও চায়ের দোকানে খাওয়ার সুযোগ পায় না। তাই আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ করছি আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সকলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন বাঁশফোঁড় তিথিল, জনি বাঁশফোঁড়, জিতেন বাঁশফোঁড় প্রমুখ।

এর পরই দর্শনা ইসলাম বাজারের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম সন্টু তার জমি ফেরত পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সন্টু তার লিখিত অভিযোগে বলেছেন, আমার মা সামিরুন নেছা ১৯৬৬ সালে দামুড়হুদার দুধপাতিলা মৌজায় ১ একর ৬৭ শতক জমি কেনেন। সে থেকে আমার মায়ের নামে খাজনা পরিশোধ করা হচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে, আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করেছেন লোকনাথপুরের আ.লীগ নেতা আমিনুদ্দিন ওরফে বেল্টু, দুধপাতিলার সাজাহান, বিপ্লব, সিরাজ, মেম ও মহিউদ্দিন কাজি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের কাছে দাবি তুলেছেন সন্টু। সাংবাদিক সম্মেলনে দর্শনা প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।