মাথাভাঙ্গা মনিটর: ম্যাচের শুরুতেই বিপদে পড়া দলকে বড় ইনিংস গড়তে ব্যাট হাতে অবদান রাখার পর বল হাতেও জ্বলে উঠলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডকে সহজেই হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। গতকাল রোববার পার্থের ওয়াকায় ফাইনালে ১১২ রানে জেতে এবারের অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে ২৭৮ রানের জবাবে ৩৯.১ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৯৫ রান করার পর প্রতিপক্ষের ইনিংস অল্প রানে গুটিয়ে দিতে ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেন ম্যাক্সওয়েল। কদিন বাদে দেশের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া একাদশ বিশ্বকাপের শিরোপা অভিযানে নামার আগে এ জয় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মনোবল আরও বাড়াবে নিশ্চয়ই।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই অ্যারন ফিঞ্চকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক জর্জ বেইলিও দ্রুত বিদায় নেয়। দারুণ ফর্মে থাকা স্টিভেন স্মিথ বড় ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেও ৪০ রানের বেশি করতে পারেননি। অষ্টদশ ওভারে মইন আলীর বলে তিনি স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ৬০/৪। এরপর মিচেল মার্শকে সাথে নিয়ে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। দু জনে মিলে ২৩.২ ওভারে ৬.০৪ গড়ে দলীয় স্কোরে ১৪১ রান যোগ করেন। মার্শ ৬৮ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬০ রান করেন। আর ৫ রানের জন্য শতক না করতে পারা ম্যাক্সওয়েল তার ৯৮ বলের ইনিংসে ১৫টি চার মারেন। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস পৌনে তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান আট নম্বরে নেমে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা জেমস ফকনারের। ২৪ বলের অপরাজিত ইনিংসে ৪টি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। ৫৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড। লক্ষ্য খুব বড় না হলেও ওয়াকার পেস বান্ধবে উইকেটে শুরুতেই মিচেল জনসন, জস হ্যাজলউড ও ফকনারের তোপের মুখে পড়েন ইংলিশ ব্যাটসম্যানেরা।
চতুর্থ ওভারে হ্যাজলউডের তৃতীয় বলে ইয়ান বেলের আউটের মধ্যদিয়ে ইংল্যান্ডের হতাশার শুরু। এরপর নবম ওভারের প্রথম বলে জেমস টেইলরকে এবং একাদশ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে যথাক্রমে মইন আলি ও ওয়েন মর্গ্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখান জনসন। খানিক বাদে ফকনারের বলে জো রুট এলবিডব্লিউ হয়ে গেলে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৭১/৫। ওখান থেকে বাকি কাজটা মূলত একাই সারেন ম্যাক্সওয়েল। অতিথিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন রবি বোপারা। টুর্নামেন্ট সেরা: মিচেল স্ট্যার্ক (অস্ট্রেলিয়া)