চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ ৭২ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন পালিত : সারাদেশে হরতালে ৭০টি গাড়ি ভাঙচুর আগুন
স্টাফ রিপোর্টার: দেশব্যাপি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ৭২ ঘণ্টার হরতাল গতকাল রোববার শুরু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মিথ্যা মামলা, সারাদেশে নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, রিমান্ড, মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন এবং অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবিতে এ হরতাল ডাকা হয়। হরতালের পাশাপাশি অবরোধের ২৭তম দিন পালিত হয়েছে। হরতাল আগামী বুধবার ভোর ৬টায় শেষ হবে। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে হরতালে জনজীবন ছিলো অনেকটায় সাভাবিক। দূর-পাল্লার কোনো যাত্রী কোনো কোচ ছেড়ে না গেলেও অভ্যন্তরিণ রুটে কয়েকটি গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। রাতে চুয়াডাঙ্গা ও জীবননগরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণে চুয়াডাঙ্গায় এক নৈশপ্রহরী ও এক পথচারী সামান্য আহত হয়েছে। হরতাল-অবরোধে রাজধানী শান্তি থাকলেও সচিবালয়ের তিন নম্বর গেটের ভেতরে ও বাইরে দুটি এবং পার্শ্ববর্তী বিদ্যুত ভবনের ৫ তলায় একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ৩ শতাধিক ২০ দলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে ৭০ গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হরতালে দূরপাল্লার রুটে সীমিত আকারে গাড়ি চলাচল করেছে। রাজধানী ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল ছিলো অনেকটা স্বাভাবিক। লঞ্চ চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতার খবর পাওয়া যায়নি। আতংকের কারণে বাস ও লঞ্চে যাত্রী ছিল কম। সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে ট্রেন চলাচল করেছে। বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট আংশিক খোলা থাকলেও লোক সমাগম তেমন ছিল না। মেহেরপুরে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীর বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। নওগাঁসহ তিন স্থানে বিদ্যুৎ অফিসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীতে গণপরিবহন ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজপথে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। সকাল থেকে রাজধানীর কোথাও পিকেটিং কিংবা মিছিল দেখা যায়নি। তবে সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে তিন নম্বর গেটের ভেতরে ও বাইরে দুটি এবং পার্শ্ববর্তী বিদ্যুৎ ভবনের ৫ তলায় একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দুটি পাজেরো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সিসিটিভি অপারেটর ও একজন নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি-জামায়াতের ৩২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রাজধানীতে একের পর এক গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্ধ্যার পর চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী রাতে ঢাকায় ৪টি গাড়িতে আগুন ও পেট্রলবোমা মারা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনায় রাতে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল একেবারেই কমে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর জজকোর্ট এলাকায় ইউনাইটেড পরিবহনের (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-২২৬৫) একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে বাসটির কিছু অংশ ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। প্রায় একই সময়ে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা-গাজীপুর রুটের ভিআইপি-২৭ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে গাড়ির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। রাত পৌনে ৮টার দিকে শাহবাগের পরীবাগ এলাকায় আরেকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তকারীরা। নগরীর বাড্ডার নতুনবাজার এলাকায় ফাল্গ–ন পরিবহনের একটি গাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আতংকে যাত্রীরা জানালা ভেঙে নেমে যায়। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া রাজধানীর পলাশীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা। সচিবালয়ের নিরাপত্তাকর্মী আবুল কালাম জানান, বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেটের ভেতরে-বাইরে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৮৬৮৯ ও ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-১৩৮৭) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সময় বিদ্যুৎ ভবনের ৫ তলার একটি জানালায় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় জানালার কাচ ভেঙে নিচে পড়ে। সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিদ্যুৎ ভবনের ভেতর থেকে বোমাগুলো সচিবালয়ের ভেতর ছুড়ে মারা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রমনা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান জানান, বিদ্যুৎ ভবনের পাঁচতলা থেকেই ককটেল দুটি নিচে ফেলা হয়। তৃতীয়টি ফেলতে গিয়ে কাচে লেগে বিস্ফোরিত হয়েছে। শিবলী নোমান সাংবাদিকদের জানান, মিরপুরে মেসার্স নাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নজরুল ইসলামকে ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী আইয়ুব আলীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে সচিবালয়ে হাতবোমা বিস্ফোরণের তদন্ত করতে গিয়ে নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা প্রায় সাড়ে ৩শ ক্যামেরা দীর্ঘদিন ধরে বিকল রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি টেকনিক্যাল। কেন দেরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। খবর পেয়ে বিদ্যুত সচিব মনোয়ার হোসেনসহ সচিবালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার পর সচিবালয়ের নিরাপত্তা আরও এক ধাপ বাড়ানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার পুরাতন গলির সামেন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। এ সময় নৈশপ্রহরী আয়ুব ও মশিউর রহমান নামের এক পথচারী আহত হন। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে বিকট শব্দে ককটেলটি বিস্ফোরিত হলে জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাথাভাঙ্গা ব্রিজ থেকে শহর দিকে আসা একটি মোটরসাইকেলযোগে দু ব্যক্তি বড় বাজার পুরাতন গলির সামনে পৌঁছুলে পেছনে থাকা এক ব্যক্তি একটি ককটেল ছুড়ে মারে। ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আয়ুব হোসেন ও মশিয়ার রহমান নামের দুজন আহত হন। স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপর চুয়াডাঙ্গা জেরা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুনসী জানান, বিকট শব্দ হওয়া বস্তুটি বোমা নয়। ওটা পটকা ছিলো। বোমার কোনো আলাতম পাওয়া যায়নি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা প্রস্তুতিকালে সাহিত্য পরিষদের সামেনে থেকে দুজন ও ভোররাতে দুজনকে আটক কজরে পুলিশ। আটককৃতদের পলিশের গাড়িতে বোমা হামলা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফাতুল্লাহ মহলদার (৫০), জেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু (৫২), বিএনপির কর্মী মিনারুল (৪০) ও খন্দকার সাজেদুর রহমান (৪২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার দুপুর ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের চত্বর থেকে হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় সদর থানার ওসি মুন্সি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের সবুজ পাড়ার মৃত ফুলসুরাত মহলদারের ছেলে রাফাতুল্লাহ মহলদার ও শেখপাড়ার মৃত আখের আলী বিশ্বাসের ছেলে মাহমুদুল্লা পল্টুকে আটক করে।
অপরদিকে যৌথবাহিনীর অভিযানে রোববার ভোররাতে সদর উপজেলার মানিকদিহি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিএনপির কর্মী মৃত আজিবর রহমানের ছেলে মিনারুল হক, খন্দকার মিজানুর রহমানের ছেলে খন্দকার সাজেদুর রহমানকে আটক করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর জব্বার সোনা জানান, পুলিশ অন্যায়ভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে। সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসি আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে হরতালে চুয়াডাঙ্গা শহরে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে। দোকানপাট খোলা ছিলো ও অভ্যন্তরীণ কয়েকটি সড়কে গুটি কয়েক বাস চলাচল করছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য আবু আলা সামছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০ দলীয় জোট বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিদ্যুত, ডিশক্যাবল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিছিন্ন করার প্রতিবাদে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে চলমান অবরোধের পাশাপাশি ৭২ ঘণ্টার হরতাল সমর্থন চুয়াডাঙ্গার জেলা বিএনপি সাহিত্য পরিষদ চত্বর থেকে সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতিকালে পুলিশ জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, চুয়াডাঙ্গা পৌর সিনিয়র সহসভপতি রাফাতুল্লা মহলদারকে আটক করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি তীব্র নিন্দা জানিয়ে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলা আটক করে এ স্বৈরাচারী সরকার তার প্রকৃত বাকশালি চেহারাটাকে জাতির সামনে উম্মচিত করেছে। জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক পল্টু ও রাফাতুল্লা মহলদারের নিঃশর্তে মুক্তি দাবি করছে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাতে জীবননগরে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুটি ও শাপলাকলি স্কুলের ভেতরে ১টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের পেছনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত করা হয়। এর পরপরই শাইন ক্লাবের পেছনে বাঁশবাগানের ভেতরে ও শাপলাকলি স্কুলের ক্যাম্পাসে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদল এ ককটেল বিস্ফোরিত করে। ধারণা করা হচ্ছে ২০ দলসহ বিএনপির ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে এ ককটেল বিস্ফোরিত করা হয়।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধের মধ্যে গতকাল রোববার ভোর থেকে শুরু হয়েছে ৭২ ঘণ্টার হরতাল। হরতাল-অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে ১৩ বিএনপি কর্মী সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে বের হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি দল। এ সময় গাংনী থানা ২ জন, মুজিবনগর থানা ৩ জন এবং সদর থানা পুলিশ ৮ জনকে আটক করে। নাশকতা প্রতিরোধে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। কার্যবিধির ১৫১ ধারায় আটককৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে সকাল থেকে হরতাল-অবরোধের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো পিকেটিং হয়নি। দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলার কয়েকটি সড়কে গুটি কয়েক বাস চলাচল করছে।