খালেদার কপালে দুঃখ আছে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি জোট আন্দোলনে থাকলেও পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দলীয় নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার রাতে সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০ দলের কর্মসূচি নিয়ে চরম প্রতিক্রিয়া না দেখাতেও দলীয় নেতাদের পরামর্শ দেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যেও সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনা অনমনীয় অবস্থানের কথাই জানিয়েছেন বলে বৈঠকে অংশ নেয়া নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এক সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নেত্রী বলেছেন, অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াত যে নাশকতা করছে, তার বিরুদ্ধে সরকার কাজ করছে। সুতরাং এ নিয়ে আপনারা চরম প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। তিনি খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, তার (খালেদা) কপালে অনেক দুঃখ আছে। চাইলে তার বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারি। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করতে চাই না। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া যে কাজটা করছেন, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার কার্যকলাপ মানবতাবিরোধী, এটা কোনো আন্দোলন নয়। এটা সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক কার্যকলাপ। এটা জঙ্গি উত্থানের একটা পদক্ষেপ। রংপুর বিভাগের এক সংসদ সদস্য বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেন সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। এখন অবস্থা আস্তে আস্তে ভালোর দিকে যাচ্ছে। সাধারণত সংসদ অধিবেশনের সময় সংসদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দশম সংসদের চলমান পঞ্চম অধিবেশনে এটাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের প্রথম বৈঠক।

বৈঠকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সংসদ অধিবেশন দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করে সংসদ সদস্যদের যার যার নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে অবস্থানের প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ মুলতবির প্রস্তাবে সাড়া দেননি বলে এক সংসদ সদস্য জানান। জয়পুরহাটের সংসদ সদস্য আবু সাইদ আল আহমুদ স্বপন বলেন, নাশকতার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে এলাকায় এলাকায় আমাদের জনমত গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকও একই কথা বলেন। সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এসএসসি পরীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কোনো পরীক্ষার্থীর ঝুঁকি না নেয়ার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে এ প্রস্তাবও নাকচ করে দেন।

Leave a comment