স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ায় প্রতিবেশী কিশোরের উত্ত্যক্তের বলি হয়েছে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া পারভীন ইতিকা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইতিকা বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার পিতাসহ নিকটজনেরা অভিযোগ করে বলেছেনে, বখাটে সাকিবের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়েই শেষ পর্যন্ত ঝরে যেতে হলে ইতিকাকে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছোট মেয়ে সাদিয়া পারভীন ইতিকা ছিলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল সন্ধ্যায় সে তাদের বাড়ির সিলিং ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। কিছুক্ষণ পর তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, হাসপাতালে নিতে নিতেই মারা যায় ইতিকা।
অতোটুকু বয়সেই জীবনের ইতি কেন টানলো ইতিকা? কেন মায়াবী জগতে আত্মঘাতী হতে হলো তাকে? অতোটুকু বয়সেই প্রেম? নাকি বখাটের উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ? এসব নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। ইতিকার পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের অনেকেই অভিযোগ তুলে বলেছেন, প্রতিবেশীর ছেলে সাকিব দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। উত্ত্যক্ত করার কারণেই ইতিকাকে অতোটুকু বয়সেই ঝরে যেতে হলো। উত্ত্যক্তেরই বলি হতে হলে ওকে।