মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপের আগে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে উত্তাল পাকিস্তান ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ড সফররত পাকিস্তান দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা নাকি সম্প্রতি বর্ধিত মেয়াদের চুক্তিপত্রে সই দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড সফররত পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এক হয়ে দলের ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চিমাকে জানিয়ে দিয়েছেন চুক্তি নবায়ন না হলে চুক্তিপত্রে সই করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ক্রিকেটারদের সাথে আলোচনা না করেই চুক্তির মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর কারণে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটাররা এর প্রতিবাদ জানাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বকাপের আগে এমন সমস্যায় স্বভাবতই চিন্তিত পাকিস্তানের ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টরা। পুরো বিষয়টি যে দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সমস্যা তৈরি করবে- এ বিষয়ে একমত অনেকেই। নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুতেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অভ্যন্তরে অস্থিরতার আগুনে পুড়েছে দলের পারফরম্যান্স। নিউজিল্যান্ড বোর্ড সভাপতি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হেরেছে মিসবাহ-বাহিনী। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অ্যাডিলেডে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নামার আগে এ সমস্যার সমাধান না হলে বিশ্বকাপে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখেই পড়তে হবে দলটিকে। অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বেই একজোট হয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তাদের কথা যে চুক্তির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, সেই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর অর্থই হচ্ছে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করা। তার ব্যাপারটি মেনে নিতে রাজি নন। নতুন একটি চুক্তির অধীনে বর্ধিত বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দিকে পাখির চোখ তাদের। চুক্তির মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তের অধীনে খেলাটা অন্য অর্থে আর্থিক বিষয়াদির ক্ষেত্রে অনিরাপদ হিসেবেও মনে করছেন তাঁরা।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর পাকিস্তান ক্রিকেটে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। তিনি মনে করেন, বিশ্বকাপের পর যেহেতু মিসবাহ-উল-হক ও শহীদ আফ্রিদির মতো ক্রিকেটাররা ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে যাবেন, তাই এক ধরনের শূন্যতা আসন্নই। তিনি অবশ্য আফ্রিদিকে তার অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, মিসবাহ অবসরে গেলে আফ্রিদিকে দিয়ে অন্তত এ শূন্যতা কিছুটা হলেও পূরণ করা যেতে পারে।