সফল হোক অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড মিশন

 

নিত্য আশাভঙ্গের দেশে আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছে ক্রিকেট। বিশ্বকাপ আসরে নিয়মিত খেলে আসছে বাংলাদেশ দল। এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন না থাকলেও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ করে নেয়াটাও অনেক বড় একটি বিষয়। ১৬ কোটি মানুষের শুভকামনা নিয়ে বিশ্বকাপের এবারের আসরে যোগ দিতে আজ বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করবে। বিশ্বকাপগামী বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা জানাতে দলের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের নৈশভোজে আপ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জানিয়েছেন শুভকামনা।

বাংলাদেশ ২০১১ সালের বিশ্বকাপে অন্যতম আয়োজক ছিলো। আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার আসরে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ও সাফল্য এনে দিয়েছে ক্রিকেট। ফলে জাতীয় ক্রিকেট দলের কাছে জাতির প্রত্যাশা একটু বেশি। মাশরাফিবাহিনী জাতির সে আশা পূরণে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বিশ্বকাপের এবারের আসর। ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য প্রতিপক্ষরা হলো- শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও বিশ্বকাপের দু স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর বলছে, এবারও বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ওপর আস্থা রাখছেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের অধিনায়ক আশা করছেন, বিশ্বকাপে ব্যাটিঙে মুশফিক ও বোলিঙে সাকিব থাকতে পারেন সেরাদের কাতারে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে দলের স্পিনাররা সাফল্য এনে দিতে পারবেন বলে আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এবার বিশ্বকাপের জন্য যে দল নির্বাচন করা হয়েছে, সে দলে অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেল রয়েছে। এবারের আসর সবার জন্যই নিজেদের প্রমাণের দারুণ সুযোগ।

আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এ সুযোগ কাজে লাগাবেন, এটা আমরা আশা করতেই পারি। বিশ্বকাপের আসরে তারা ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেবেন। ১৬ কোটি মানুষের শুভকামনা থাকবে তাদের জন্য। জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিতে তারা কার্পণ্য করবেন না বলেই আমাদের বিশ্বাস। জাতির বিশ্বাসের মর্যাদা নিশ্চয়ই রাখবেন আমাদের ক্রিকেটাররা।