স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি শক্তির সহায়তায় বিএনপি ক্ষমতা জবরদখল করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা এমনকি জনগণকেও ধোঁকা দিতে উদ্যোগী। এ জন্যই কংগ্রেসম্যানের নামে মিথ্যা বিবৃতি দেয়। মিথ্যাচারিতায় পারদর্শী দলটির দেশের সীমানা ছাড়ানো এ ধোঁকাবাজি গোটা জাতির জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনা গতকাল রোববার সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়গুলো পরিদর্শন করেন। এর অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা দেশ ধ্বংস করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতিকে বাধাগ্রস্ত করার অভিসন্ধি থেকে সব ধরনের সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হয়নি- বরং তার চাহিদা মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা তাকে দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া অফিসেই থাকতে চান। প্রতিদিন তার দলীয় নেতারা তার সাথে দেখা করছেন এবং তারা এখান থেকেই আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশ ও নির্দেশনা পাচ্ছেন। যদি সরকার তাকে অবরুদ্ধ করে থাকে, তবে কীভাবে প্রতিদিন সেখানে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, খালেদা জিয়া সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন, তার দলের নেতারা তার সাথে বৈঠক করছেন? আসলে বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের নামে দেশ ধ্বংস করতে সংকল্পবদ্ধ। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এমএ হান্নান বক্তৃতা করেন। এ সময় মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসংযোগ করা ছাড়া বিএনপির আর কোনো আন্দোলন নেই। এ দলের চেয়ারপারসন ক্ষমতায় অথবা পার্লামেন্টে না থাকায় গভীর অনুতাপে ভুগছেন। এখন তিনি প্রতিহিংসার আগুনে সারা দেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করছেন। তার সরকার দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অচিরেই বিশ্বে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে পরিণত হবে। ‘প্রত্যেকেই তার সৃজনশীলতাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে এবং আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার বিষয়ে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। অন্যান্য দলের দেশপ্রেমের ঘাটতি আছে। এ কারণে তারা দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেও এ বিরোধপূর্ণ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি এবং রাজাকারদের সাথে যোগ দিয়েছেন।