দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জ্বালানি তেল সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: টানা অবরোধে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জ্বালানি তেল সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অঞ্চলের ফিলিং স্টেশন ও এজেন্সি পয়েন্টে স্বাভাবিক দিনে ১৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ৬ থেকে ৭ লাখ লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও সরবরাহে নিরাপত্তাহীনতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এর প্রভাব সেচ ও জ্বালানিনির্ভর শিল্প কারখানাসহ পরিবহনের ওপর পড়তে শুরু করেছে। জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও ফরিদপুর এবং বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় প্রায় সাড়ে ৩শ পাম্প ও ৩শ এজেন্সি পয়েন্ট রয়েছে। এসব পাম্প ও এজেন্সির সাথে সাড়ে ৩শ ট্যাঙ্কলরির আড়াই হাজার শ্রমিক-কর্মচারী যুক্ত রয়েছেন। টানা অবরোধে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও সরবরাহও অর্ধেকে নেমে এসেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অচলাবস্থার কারণে শ্রমিক ও কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তারা অনেকটাই বেকার হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, খুলনার তিনটি ডিপো থেকে অবরোধের আগে ৩ জানুয়ারি ২৮৫ টন পেট্রল, ৭২ টন অকটেন, ৩ হাজার ২৪৮ টন ডিজেল ও ১২৬ টন কেরোসিন সরবরাহ করা হয়। ৬ জানুয়ারি অবরোধ চলাকালে একই ডিপো থেকে মাত্র ৩২ টন পেট্রল, ৮ টন অকটেন, ৩৮৯ টন ডিজেল ও ২৮ টন কেরোসিন সরবরাহ হয়। ১৪ জানুয়ারি সরবরাহ হয়েছে ৮৯ টন পেট্রল, ৩৯ টন অকটেন ৩ হাজার ৫৯৬ টন ডিজেল ও ৯৩ টন কেরোসিন।

খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ হারুন আল রশিদ বলেন, বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ট্যাঙ্কলরি ভাঙচুর করা হয়েছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ট্যাঙ্কলরি মালিক, চালক ও শ্রমিকরা আতঙ্কিত রয়েছেন। এ কারণে নিরবচ্ছিন্ন তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য তিনি দাবি জানান।

খুলনার বাদামতলা এলাকার মেসার্স মোড়ল ফিলিং স্টেশনের মালিক মোড়ল আবদুস সোবাহান বলেন, তেল বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন। ফিলিং স্টেশনে ১৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিদ্যুত বিলসহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে চাপে পড়তে হচ্ছে।