আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আদালতের আদেশে আগামীকাল রোববার পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য তাহেরার লাশ কবর থেকে তোলা হবে। তাহেরার পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। তাহেরার পিতা-মাতার মতো তাহেরা হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়া এলাকাবাসীর মধ্যে নানা সন্দেহ শঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না।
গত ৮ ডিসেম্বর স্কুলছাত্রী তাহেরার গলায় রশি দেয়া লাশ আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধামের ভাড়াবাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। নিহত তাহেরার সারা শরীরে কাটা রক্তাক্ত জখমের দাগ ছিলো। ডান হাতের তালুতে আই লাভ ইউ লেখা ছিলো। ফলে সাধারণ মানুষের মনে দৃঢ়মূল ধারণা হয় যে, এটা আত্মহত্যা ছিলো না। তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে টানিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগ পুলিশের তরফেও অমূলক বলে উড়িয়ে দেয়া হয়নি। তাছাড়া হত্যার পরও লাশের ওপর পাশবিক নির্যাতনের আলামত মেলে। অথচ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া অতো স্বল্প সময়ে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেশের বিষয়টিও নানা প্রশ্নের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদনের জন্য তাহেরার পিতা ঘুরতে থাকেন। এক পর্যায়ে আবেদন পৌছায় আদালতে। বিজ্ঞ আদালত লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের আদেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ আদেশের ভিত্তিতেই লাশ ছত্রপাড়ার কবরস্থান থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতন্ত করা হবে। এবারও কি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গের একই মেডিকেল অফিসারদের দিয়ে ময়নাতদন্ত? এ প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব অবশ্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পরদিন ভোর থেকেই আত্মগোপন করে বাড়ি মালিক আব্দুল কাদেরের ছেলে বাচ্চু। তাকে নিয়ে যেমন নানা সন্দেহ দানা বাধে, তেমনই তার কয়েকজন সহযোগীর আত্মগোপনের বিষয়টিও সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এদের নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। তাহেরা হত্যার বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য টাকা আর প্রভাবশালীর তদবির প্রসঙ্গ দিন দিন ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক মন্ত্রীর নাকি জোর তদবির রয়েছে। এরকম গুঞ্জন বাতাসে ভাসছে।