দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন আজ

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন : ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টারের বাজারের পরিণত

 

হারুন রাজু: ১৮৬২ সালে বর্তমানে দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা হয়। ঢাকা-কোলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের মধ্যদিয়েই শুরু হয় স্টেশনের কার্যক্রম। দর্শনা স্টেশন প্রতিষ্ঠার পরপরই গড়ে ওঠে দর্শনা রেলবাজার। ২/১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বাজার শুরু হলেও বর্তমানে দর্শনা রেলবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। বাজার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার কমিটি না থাকলেও ব্যবসায়ীরা মুরুব্বি মেনে চলতো। বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যবসায়ীকে অভিভাবক হিসেবে সম্মান করা হতো। বাজার প্রতিষ্ঠার ১৩৮ বছরেও কোনো প্রকার নির্বাচন ও মনোনীত কমিটি গঠন হয়নি। ২০০০ সালের দিকে প্রথম নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন- হাজি খন্দকার শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাবেক সরকার। এরপর টানা ১ যুগ কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১২ সালের প্রথম দিকে বাজারের ব্যবসায়ীরা জেগে ওঠেন নির্বাচনের জন্য। শুরু হয় নির্বাচনের কার্যক্রম। বহু চড়াই-উৎরাইয়ের পর অনুষ্ঠিত হয় ত্রিবার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচিত ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৩য় বারের মতো এবার আজ ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল বুধবার নির্বাচনে অংশ নেয়া সকল প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন করেছে মতবিনিময়সভা। গত বুধবার সন্ধ্যার পর নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রার্থী ও সমর্থনদের জানানো হয়েছে সকল প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রাখার কথা। নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদে আবারো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাজি আজির বক্স। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- হাজি আকমত আলী, হাজি জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর আলম, আশরাফুল ইসলাম উলুম, হাজি হারুন অর রশিদ, অ্যাড. আফতাব উদ্দিন, গোলাম ফারুক আরিফ ও সাংবাদিক হানিফ মণ্ডল।

হাজি আজির বক্স জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কমিটির ১৩টি পদের মধ্যে ৫টি পদেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ৮ পদে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ ৮টি বিপরীতে ২২ জন প্রার্থী রয়েছেন ভোটযুদ্ধে। দোকান মালিক সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক-প্রচারণা। সমর্থকদের সাথে নিয়ে প্রার্থীরা দলে দলে ঘুরেছেন ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থীদের প্রতীক ও নিজেদের ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানারে ব্যানারে ছেয়ে গেছে বাজারের অলি-গলি। গত নির্বাচনে কমিটির ১৩ টি পদের বিপরিতে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার প্রার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। এবার ৯৯৩ জন ভোটার আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদরাসা ভোট কেন্দ্রে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ক্যাশিয়ার পদে মোখলেসুর রহমান, ৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪ নং ওয়ার্ডে জামাল উদ্দিন, ৫ নং ওয়ার্ডে মোজাম্মেল হক বাবু, ৬ নং ওয়ার্ডে হাফিজুর রহমান ও ৭ হাবীব শিকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এ ৫ জনই পুনরায় পদ পেলেন। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে দ্বিমুখি ও সাধারণ সম্পাদক পদের ক্ষেত্রে দ্বিমুখি লড়াইয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ব্যবসায়ী ভোটারদের কাছ থেকে।