প্রেমের টানে ভারত থেকে আসা পারুলার বিয়েতে বাঁধ সাধলো বয়স
শেখ সফি: সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দু বাংলাকে আলাদা করলেও প্রেমিক যুগলকে আলাদা করতে পারেনি। আর তাইতো প্রেমের টানে ভারতের নদীয়া থেকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামে ছুটে এসেছিলেন স্কুলছাত্রী পারুলা আক্তার (১৫)। তবে বাঁধ সেধেছে পারুলার বয়স। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিয়ের জন্য পারুলার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় প্রেমের সম্পর্ক পরিণতিতে গড়াইনি। শেষ পর্যন্ত মনের মানুষকে ছেড়ে শুধু চোখের জ্বল নিয়েই পিতার বাড়িতে ফিরে গেলেন পারুলা আক্তার। গতকাল বুধবার দুপুরে মুজিবনগর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মধ্যদিয়ে তাকে ফেরত দেয়া হয়।
মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ভারতের নদীয়ার নওদাপাড়া গ্রামের নজরুল দফাদারের মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণি ছাত্রী পারুলা খাতুন ও তার ফুফাতো ভাই মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের নসিমনচালক মামুনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামুনের সাথে বিয়ের উদ্দেশে গত রোববার বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে পারুলা। কিন্তু বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী পারুলার বিয়ের বয়স পূর্ণ না হওয়ায় বিপাকে পড়ে মামুনের পরিবার। এর মধ্যে পারুলার পিতা নদীয়ার তেহট্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নদীয়া ও মেহেরপুর পুলিশ সুপারের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনার পর মঙ্গলবার দুপুরে মামুনের বাড়ি থেকে পারুলাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর থানায় নেয় পুলিশ।
এদিকে থানা থেকে সীমান্তের পতাকা বৈঠকস্থলে নেয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন পারুল ও মামুন। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি মামুনের পরিবারের সদস্যরাও। পারুলার বিয়ের বসয় পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত দুজনেই বিয়ের জন্য অপেক্ষা করবে বলে জানান এই প্রেমিক জুটি। তবে বিয়েতে পারুলার পিতার আপত্তি রয়েছে জানায় মামুনের পরিবার।
গতকাল বুধবার দুপুরে মুজিবনগর সীমান্তের ১০৫নং মেন পিলার এলাকায় বিজিবি মুজিবনগর ক্যাম্প ও বিএসএফ হৃদয়পুর ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পারুলাকে পিতা নজরুল দফাদারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম।