মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যে কয়টি ভাগ্যহত দল রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম নিউজিল্যান্ড। দলটির সাথে ‘সেমিফাইনালের দল’ তকমাটা যেন সেঁটেই গেছে। ১৯৯২ সালে সর্বশেষ সহ-আয়োজক হওয়ার পর মার্টিন ক্রোদের সবাই টপ ফেভারিটই ভেবেছিলো। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন ভেস্তে গিয়েছিলো তাদের। এবারও সহআয়োজক। মার্টিক ক্রোর মতো বিশ্ব শাসন করা কেউ নেই এবার। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের মতো মোটামুটিমানের ভারসাম্যপূর্ণ এবং শক্তিশালী একটি দলই গঠন করেছে নিউজিল্যান্ড। তবে কিউই দলে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে জিমি নিশামকে বাদ দেওয়া। দলটির নিয়মিত এই পারফরমারের ঠাঁই হয়নি ১৫ সদস্যের দলে। কারণ অলরাউন্ডার অপশন তৈরি করতে গিয়েই কাটা পড়েছে তার নাম। পরিবর্তে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার গ্রান্ট এলিয়টই সুযোগ পেয়ে গেলেন বিশ্বকাপে খেলার। গ্রান্ট এলিয়টের সঙ্গে অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, কোরে এন্ডারসন এবং নাথান ম্যাককুলাম। একই সঙ্গে বাদ পড়েছেন ফাস্ট বোলার ম্যাট হেনরিও। অথচ এই পেসার গত বছর নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ওয়ানডে সিরিজে দলে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পেস ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্ব দেবেন টিম সাউদি। সাথে থাকছেন ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল ম্যাকক্লেগান, অ্যাডাম মাইলেন এবং কাইল মিলস। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টও বেশ শক্তিশালি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। নিয়মিত ফর্মে থাকা কেনে উইলিয়ামসনের সঙ্গে রস টেলর, ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা রয়েছেন মিডল অর্ডারে। দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর টম লাথামও রয়েছেন ভারো ফর্মে। তবে ম্যাককালাম নিজেকে তুলে আনতে পারেন টপ অর্ডারে। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল: ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, গ্রান্ট ইলিয়ট, টম লাথাম, মার্টিন গাপটিল, মিচেল ম্যাকক্লেগান, নাথান ম্যাককুলাম, কাইল মিলস, অ্যাডাম মাইলেন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, কেনে উইলিয়ামসন, কোরে এন্ডারসন, টিম সাউদি, লুক রঞ্চি (উইকেররক্ষক) এবং রস টেলর।