দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি

১৩টি পদের মধ্যে ৮টি পদে ভোট লড়াই : মাঠে রয়েছেন ২২ জন প্রার্থী

 

হারুন রাজু/হানিফ মণ্ড: দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি। এ লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি পুরোদমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কমিটির ১৩টি পদের ৫টি পদেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ৮ পদে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ ৮টি বিপরীতে ২২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দোকান মালিক সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। বেশ আগেভাগেই প্রার্থীরা শুরু করেছে প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা সমর্থকদের সাথে নিয়ে দলেদলে ঘুরছেন দোকানের ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে। এবারো খানেকটা গতবারের মতোই প্রার্থীরা তাদের পছন্দের প্রতীক ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। প্রার্থীদের প্রতীক ও নিজেদের ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানারে ব্যানারে ছেয়ে গেছে বাজারের অলি-গলি। পুরাতন প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুনরাও পিছিয়ে নেই। তারা কোমর বেধে ব্যাপক প্রচারণার পাশপাশি ছবি সংবলিত হ্যান্ডবিল বিলির মধ্যদিয়ে কূশল বিনিময়, দোয়া প্রার্থনা ও ভোট চাচ্ছেন।

দর্শনা রেলবাজার এলাকায় এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনের গরম বাতাস বইছে। চায়ের দোকান, হোটেল-রেঁস্তোরাসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানতো নির্বাচনী আলোচনায় মুখরিত থাকছে সর্বক্ষণই। টানা এক যুগ পর গত তিনবছর আগে ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ত্রিবার্ষিক নির্বাচন। প্রায় সকল ব্যবসায়ী ব্যবসার ফাঁকে ফাঁকে নির্বাচনের আলোচনায় সরগম করে তুলছেন বাজার এলাকা। সর্বত্র এখন নির্বাচনের গরম হাওয়া বইছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দোকান মালিক সমিতির সাধারণসভায় নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা না হলেও গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বৈঠক শেষে ২৮ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদে আবারো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাজি আজির বক্স। অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- হাজি আকমত আলী, হাজি জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর আলম, আশরাফুল ইসলাম উলুম, হাজি হারুন অর রশিদ, অ্যাড. আফতাব উদ্দিন, গোলাম ফারুক আরিফ ও সাংবাদিক হানিফ মণ্ডল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৩০ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা সংশোধন, আপত্তি দাখিল ও আপত্তির নিষ্পতি। ৩১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ। ১ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা। ৩ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাচাই ও প্রতীক বরাদ্দ। ৪ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। প্রত্যারের দিন সভাপতি পদে ফারুক হোসেন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদরাসায় বিরতিহীনভাটে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। গত নির্বাচনে কমিটির ১৩টি পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার প্রার্থীর সংখ্যা কমেছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ক্যাশিয়ার পদে মোখলেসুর রহমান, ৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪ নং ওয়ার্ডে জামাল উদ্দিন, ৫ নং ওয়ার্ডে মোজাম্মেল হক বাবু, ৬ নং ওয়ার্ডে হাফিজুর রহমান ও ৭ হাবিব শিকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এ ৫ জনই পুনরায় পদ পেলেন। এবারের নির্বাচনে ৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন, সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন (ছাতা) ও রেজাউল হক (বাইসাইকেল), সহসভাপতি পদে বর্তমান সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন রতন (বালতি) ও নুরুল ইসলাম নুরু (আনারস), সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকা (হাতপাখা), জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল (চেয়ার) ও সেলিম মেহমুদ লিটন (মই), যুগ্মসম্পাদক পদে আব্দুল কাইয়ুম (কলস), আবুল বাসার (চায়ের কেটলি), আরিফুর রহমান বাবু (তালাচাবি), রিফাত খান রবি (প্রজাপতি) শামসুল ইসলাম (মাছ), হারুন অর রশিদ (মোরগ), দপ্তর সম্পাদক পদে বিল্লাল হোসেন (হারিকেন) ও মিজানুর রহমান (দেয়ালঘড়ি), ১ নং ওয়ার্ড সদস্য পদে আক্তারুল জোয়ার্দ্দার, (বৈদ্যুতিক পাখা), ফরজ আলী (মোটরসাইকেল) ও শরীফ উদ্দিন (ডাব), ২ নং ওয়ার্ডে আব্দুল আলীম (টেবিল) ও জাহিদুল ইসলাম (ফুটবল) ও ৩ নং ওয়ার্ড আ. করিম (আম) এবং আ. মোমিন (চশমা) প্রতীকে। গত নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। এবারের নির্বাচনে ৯৯৩ জন ভোটর গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।