গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপনে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ রাজধানীর রাজপথ ছিল আওয়ামী লীগের দখলে

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সাফল্যের বর্ষপূর্তি শীর্ষক বর্ণাঢ্য ৱ্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর দখল করে রাখেন। মোড়ে মোড়ে চলে ব্যান্ডপার্টির সাথে যুবকদের নৃত্য আর আতশবাজি। দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, অ্যাড. মহ. শামশুজ্জোহা পিপি, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবির, যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম আসমান, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, আফজালুর রহমান, জহুরুল হক, মহিলা নেত্রী নুরুন্নাহার কাকলী, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবাইত বিন আজাদ সুস্তির, শফি উদ্দিন টিটু, কলেজছাত্র সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন প্রমুখ। সেখানে নেতাকর্মীরা সরকারের গুণগান করে বক্তৃতা করেন। সেই সাথে বিরোধীদলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জেলা শহরের সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন। এ সময় জেলা শহরের যানবাহন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। চৌরাস্তার মোড় দিয়ে সাধারণের যাতায়াতও থমকে যায়। মোড়ে মোড়ে দেখা যায় পুলিশের অবস্থান।

Pic-1

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণতন্ত্র রক্ষা দিবসে আনান্দ মিছিল বের করে। সরোজগঞ্জ চৌরাস্তা মোড় থেকে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওসমান গনি নেতৃত্বে মিছিলে অংশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ সরদার ,চুয়াডাঙ্গা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আশা, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নিলুয়ার হোসেন ,সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ হাসানুজ্জামান মানিক, সভাপতি জুয়েল রানা, যুগ্মসম্পাদক শঙ্কর শর্মা সাবেক সহসভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম রেজা প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবর রহমান, সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম খান, মঈনদ্দিন, লুৎফর রহমান, প্রশান্ত অধিকারী, আহসান মৃধা, মহিদুল ইসলাম মুহিদ, মাসুদ রানা তুহিন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার।

এদিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আলমডাঙ্গায় আসা মিছিল হতে হাসপাতালে ঢিল ছোড়া হয়। এতে হাসপাতালের গেটের থাই-গ্লাস ভেঙে যায়।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠ থেকে এমপি আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে চৌরাস্তার মোড়ে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. রফিকুল আলম রান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টু, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. রেজাউল হক রেজা, হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন, উপজেলা যুবলীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফ ও আব্দুল হান্নান ছোট।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন ওই আনন্দ ৱ্যালি ও সমাবেশ করে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. জয়নাল আবেদীন ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মিয়াজান আলীর নেতৃত্বে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই আনন্দ ৱ্যালি বের হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ৱ্যালি শেষে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মিয়াজান আলী, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোল্লা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, আব্দুল মালেক মোল্লা, কামরুল হাসান চাঁন্দু, মাহাবুবুল আলম শান্তি, এস ইমন, আবু সালেহ মো. নাসিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম সাজ্জাদ, যুগ্ম সম্পাদক নিশান সাবের, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, যুবলীগ নেতা মাহফিজুর রহমান রিটন, শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মফিজুর রহমান, জুয়েল রানা, ফিরোজ আলী, সোহেল আহমেদ প্রমুখ।

এদিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় শহীদ শাসসুজ্জো পার্কে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, আনারুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক কেএম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আইয়ুব হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. কাজি শহিদুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. কলিমউদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আরিফুল এনাম বকুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এনামূল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব এলাহী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সাবেক সভাপতি সাফুয়ান আহমেদ রুপক, বর্তমান সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান রক্ষা করা হয়েছিলো। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মানুষ হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর মধ্যদিয়ে নির্বাচন বাঞ্চাল করার চেষ্টা করেছিলো। দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বক্তরা। কিন্তু নির্বাচনের পর দেশে যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এ সরকার ধরে রেখেছে তখনই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। সমাবেশ শেষে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের হোটেল বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার মেহেরপুর গাংনীতৈ ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাংনী শহীদ রেজাউল চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরই গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি আনন্দৱ্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে শেষ হয়। রেজাউল চত্বরে ছাত্রলীগের জন্মদিনের কেক কাটা হয়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান মুকুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক নুরজাহান বেগমম, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি কাবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হুদা, শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহ সভাপতি ইয়াসিন রেজা, উপজেলা আ’লীগ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আইয়ুব আলী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান শিপু, ফয়সাল আহম্মেদ সাগর, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ক্লাবের সভাপতি আশিকুর রহমান আকাশ ও সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনে ঝিনাইদহ শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার সকাল থেকে লাঠি হাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এমপি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা বিএনপি, জামায়াত, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিকালে শহরের পায়রা চত্বরে সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। দুপুরের পর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন কয়েকহাজার নেতাকর্মী। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল ওয়াহেদ জোয়ারদারের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস আলী, মাহমুদুল ইসলাম ফোটন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার সউদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক পোড়াহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অশোক ধর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহ মো. ওয়াজেদ আলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুর রহমান রাসেল, রাজু আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি আতিয়ার রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম, আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদিক অ্যাডভোকেট সালমা ইয়াসমিন ও জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা খালেদা খানম।

হরিনাকুণ্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হরিণাকুণ্ডু আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি ও সমাবেশ করা হয়। বেলা ৩টায় দোয়েল চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য ৱ্যালি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো দোয়েল চত্বরে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশারত আলীর সভাপতিত্বে এবং আমিরুজ্জামান পলাশ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের উপজেলা আহ্বায়ক মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার। এছাড়া সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু, আসমত আলী, খাইরুল ইসলাম, অ্যাড. বজলুর রহমান, মুঞ্জুরুল আলম, আতিয়ার রহমান, বাবু নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, মাস্টার ফজলুর রহমান, আশরাফুল হক জুয়েল, আব্দুল্লাহ মারুফ, মিজানুর রহমান, কামাল হোসেন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাকের আলী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাফেদুল হক সুমন, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহম্মেদ প্রমুখ। দল ক্ষমতাসীন হওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আযোজিত ৱ্যালি ও সমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীগণ নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়ে রাজপথে নেমে আসে। তারা এখন থেকে বিরোধী জোটের সকল প্রকার অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রোববার আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা ত্রিমুখি সংঘর্ষের কারণে পণ্ড হয়ে গেছে। ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। মহেশপুর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে গত রোববার বিশেষ বর্ধিত সভা ডাকা হলে সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগদান করায় এক পর্যায়ে কর্মী সমাবেশে পরিনত হয়। সকাল ১০ নেতাকর্মীরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য বর্তমান এমপি নবী নেওয়াজের পক্ষে সভাপতি আলহাজ সাজ্জাতুয জম্মার পক্ষে এবং সাবেক এমপি ও বর্তমান সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল আজম খান চঞ্চলের পক্ষে মিছিল করতে থাকে। এরপর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল আজিজ উপজেলা সভাপতি সাজ্জাতুয জুম্মা ও এমপি নবী নেওয়াজ অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তিন নেতার সমর্থকরা মঞ্চের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লাঠি ও চেয়ার নিয়ে সংর্ঘষের জড়িয়ে পড়ে।। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সংবাদ বাইরে ছড়িয়ে পড়লে ত্রিমুখি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক এমপি অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করলে আবার নতুন করে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর হামলা চালায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় উভয়গ্রুপের ৫ জন কর্মী আহত হন। আহতরা হলেন- আজিজুল কামার, ওমর ফারুক, সোহেল রানা, শাহাজান আলী ও ফতেপুরের কালু। তাদেরকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বর্ধিতসভায় আমন্ত্রিত জেলা নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ আলোচনা করে সভা স্থগিত করেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি সাজ্জাতুয় জুম্মা। সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল আজিজ, জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল ওয়াহেদ জুয়াদ্দার, উপজেলা সভাপতি সাজ্জাতুয জুম্মা, ঝিনাইদহ ৩ আসনের এমপি নবী নেওয়াজ, উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল, আক্কাস আলী, ময়জদ্দীন হামিদ, সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ। সভা শেষে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান উপজেলা সভাপতি জুম্মা, এমপি নবী নেওয়াজ ও সাবেক এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল।