ক্লিনিকে ষোলশ টাকায় অ্যাপেন্ডিসাইট অপারেশনে পঁচিশ হাজার টাকার ওষুধ সেবনেও সুস্থতা মেলেনি

৪ মাস পর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার: ক্লিনিকে ১৬শ টাকায় অ্যাপেন্ডিসাইট অপারেশন করে ২৫ হাজার টাকার ওষুধ সেবনেও সুস্থ হননি দামুড়হুদা নতুন হাউলীর আল আমিন (২৮)। টানা প্রায় ৪ মাস ধরে যন্ত্রণায় কাতরানোর পর অবশেষে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অপারেশন করে স্বস্তির শ্বাস নিতে শুরু করেছে সে।

সদর হাসপাতালে অপারেশনের পর আল আমিন বলেছেন, পেটের ডান পাজড়ে মাঝে মাঝে যন্ত্রণা হতো। চিকিৎসার জন্য দামুড়হুদার জাহাঙ্গীরের ক্লিনিকে গেলে অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। ১৬শ টাকা খরচ নিয়ে অপারেশন করানো হয়। অপারেশন করেন ডা. আবু হাসানুজ্জামান নূপুর। অপারেশনের পর যন্ত্রণা দিন দিন বাড়তে থাকে। ইনফেকশন দেখা দেয়। সেখানে গেলে দফায় দফায় লিখে দেন ওষুধ। জাহাঙ্গীর নিজেই ওষুধ লিখে দিতো। অপারেশনের পর প্রায় ৪ মাসে ওষুধ খেয়েছি ২৫ হাজার টাকারও বেশি। যন্ত্রণা যায়নি। পুঁজ পড়াও বন্ধ হয়নি। শেষে পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. নূরুদ্দীন রুমি গতকাল অপারেশন করেন।

অ্যাপেন্ডিসাইট অপারেশনের পর ৪ মাস ধরে ভুগতে হলো কেন? এ প্রশ্নের জবাবে ডা. রুমি বলেছেন, অপারেশনে ত্রুটি ছিলো। সে কারণেই ভুগতে হয়েছে। হাসপাতালে অপারেশনের পর আশা করছি রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।