স্ত্রী-ছেলে ও দু মেয়ের তিন দিনের রিমান্ড
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার ঘরজামাই রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় তার ছেলে শান্তি, স্ত্রী জাহেরা খাতুন, দু মেয়ে সাবিনা ও রেহেনা খাতুনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শান্তিকে গতপরশু আদালতে সোপর্দ করা হলেও স্ত্রীসহ দু কন্যাকে গতকাল গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ৪ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষ পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চেন উদ্ধারে গতকাল দিনভর পানিতে নেমে ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে।
আলমডাঙ্গা নতিডাঙ্গার রবিউল ইসলাম দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ায় বসবাস করে আসছিলো। এক ছেলে ও তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি বসবাস শুরু করলেও পিতার সম্পত্তির ভাগ নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। এরই এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন রবিউল ইসলাম। তার গলায় আঘাতের দাগ। মুখের দাঁড়ি ছিলো টেনে ছেঁড়া। পায়ে ছিলো রশি দিয়ে বেধে রাখার স্পষ্ট চিহ্ন। এরপরও স্ত্রীসহ দু কন্যা প্রথমে হৃদরোগে মারা গেছে বলে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বাঘডাশায় মেরেছে বলেও দাবি করেন তারা। অবশেষে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। স্ত্রী, ছেলেসহ দু মেয়েকে থানায় নেয়া হলেও ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন ছেলে শান্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। গতকাল স্ত্রী ও দু মেয়েকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল হালিম শুনানি শেষে ৪ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করার পাশাপাশি তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আমির আব্বাস বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। অপরদিকে গতকাল গাড়াবাড়িয়া গ্রামে কে বা কারা রটায়, রবিউলকে যে চেন গলায় পেচিয়ে মারা হয়েছে সেই চেনটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলা হয়েছে। এ কথায় কান দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ পুকুরে নেমে চেনটি উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালিয়ে তা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে।