সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে নিজের অমর কীর্তি ঘুরে ঘুরে দেখলে হুইপ ছেলুন
স্টাফ রিপোর্টার: স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে আলমডাঙ্গাবাসীসহ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি ছিলো আলমডাঙ্গার লালব্রিজের পাশের বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ। জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে। তার এ অমর কীর্তি দেখতে ও দেখাতে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় জেলা পর্যায়ে কর্মরত গণমাধ্যমের সাতকর্মীকে নিয়ে ছুটে যান আলমডাঙ্গার বধ্যভূমিতে।
বধ্যভূমিতে পৌঁছে সেখানকার সার্বিক নির্মাণকাজ ও বিউটিফিকেশন ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সাংবাদিকদেরকে দেখান। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ যাবত উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ধারণা দেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য তিনি হারিয়ে যান ১৯৭১ সালের রণক্ষেত্রে।
হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সাথে গতকাল চুয়াডাঙ্গার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের প্রতিনিধি রফিক রহমান, বৈশাখী টিভির মরিয়ম শেলী, যমুনা টিভির আরিফুল ইসলাম ডালিম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাজন রাশেদ ও একুশে টিভির আতিয়ার রহমান।
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সফরসঙ্গী ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ ও সহসভাপতি সুস্থির আজাদ। আলমডাঙ্গা থেকে যোগদেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুন ও শামীম আরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গণু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
হুইপ সাংবাদিকদের জানান, বধ্যভূমিতে এ স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ইতোমধ্যে ১৫ লাখ টাকার ওপর খরচ হয়ে গেছে। পুরো কাজ সম্পন্ন হতে আরো পাঁচ লাখ টাকা খরচ হবে। পুরো টাকা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মেটানো হচ্ছে। এজন্য কারো কাছ থেকেই কোনো আর্থিক সহায়তা নেয়া হয়নি। তবে এ কাজে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হুইপ বলেন, মানুষের আজ টাকা আছে, কাল নাও থাকতে পারে। কিন্তু এরকম ভালো কাজ করতে পারলে যুগে যুগে তা থাকবে এবং ভালো কাজের মধ্যদিয়েই অমর হয়ে থাকবে।