চুয়াডাঙ্গায় শীতে ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু : হতদরিদ্র মানুষেরা দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার: শীতজনিত কারণে ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল শুক্রবার ১৪ শয্যার শিশুওয়ার্ডে ২৯ জন রোগী ভর্তি ছিলো। এদের মধ্যে ১৮ জন ডায়রিয়া এবং ১১ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচাচ তাপমাত্রা ছিলো ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হতদরিদ্র মানুষেরা দুর্ভোগ বেড়েছে। বিভিন্ন সংগঠন শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য অনেকের।

জানা গেছে, ঘন কুয়াশার অবগুণ্ঠনে ঢেকে গেছে গোটা প্রকৃতি। জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে গাছপালা, রাস্তা-ঘাট, মাঠ-প্রান্তর। নিস্তব্ধ রাতের গাছ-গাছালি, ঘরের চালা থেকে টুপটাপ ঝরছে শিশির বিন্দু। রংপুরসহ পুরো উত্তর জনপদের চিত্র যেন এটি। এরই মধ্যে চলছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবন। কাজকর্ম তো আর রেখে দেওয়া যায় না। দিনের বেলায়ও গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে মহাসড়কে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি অবস্থান করার কারণে ঘন কুয়াশা দেখা দিয়েছে। সূর্যের আলো আসতে না পারায় প্রকৃতি উষ্ণ হতে পারছে না। ফলে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ কেটে লঘুচাপের প্রভাবে জলীয় বাস্প ভূপৃষ্টে প্রবেশের কারণে কুয়াশার দাপট বেড়েছে। তীব্র শীতে শীতে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এসব রোগ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে একটি থেকে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।