চুয়াডাঙ্গার ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ফরম বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা!

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি ফরম বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। ওই বিদ্যালয় দুটির কয়েকজন শিক্ষকসহ তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা ওই অনিয়মে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা। আগামী ২১ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন- ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলামিয়াত) মুহাম্মদ জান্নাতুল ফেরদৌস, দিবা শিফটের সহকারী শিক্ষক (গণিত) আশিষ কুমার সাহা ও সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) অশোক কুমার অধিকারী এবং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কবির উদ্দীন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গার সরকারি বিদ্যালয় দুটিতে ১৫০ টাকা মূল্যের বিনিময়ে ২০১৫ সালের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে এবং চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দুটি বিদ্যালয়ে দু শিফটের জন্য ২৪০ জন করে ৪৮০ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ভর্তি করা হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা ওই বিদ্যালয় দুটির কয়েকজন শিক্ষকের নিকট গত ৬ মাস যাবত এক হাজার টাকা প্রতিমাসে বেতনের বিনিময়ে ভর্তি কোচিং ক্লাস শুরু করেছে। এবার শুরু করেছেন ওইসব শিক্ষকরা ভর্তি ফরম পূরণে নিজেদের পছন্দের ছাত্রছাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী সিট বসানোর কাজ। একেকজন শিক্ষক ২০ থেকে ৫০টি ফরম একবারে তুলে নিচ্ছেন নিজেদের কোচিঙের ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের জায়গায় সিট বসানোর জন্য। আর এজন্য গুনতে হচ্ছে অভিভাবকদের বাড়তি আরো তিন হাজার টাকা করে।

এদিকে সাধারণ অভিভাবকরা শিক্ষকদের এ কার্যকলাপে তাদের সন্তানদের ভর্তি নিয়ে এখনই দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার রুহুল আমীন জানান, বিষয়টি তিনি জানার পরপরই দুটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন।