গোয়ালন্দ পতিতা পল্লিতে বিক্রির ৩ মাস ৮ দিন পর প্রতারিত নারী উদ্ধার

জীবননগর মানিকপুরের হতদরিদ্র পিতার স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে উদ্ধারে লোকমোর্চা ও পুলিশ

 

জীবননগর ব্যুরো: প্রতারকের খপ্পরে পড়ে গোয়ালন্দ পতিতা পল্লিতে বিক্রি হওয়া জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে ৩ মাস ৮ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা লোকমোর্চা ও প্রতারিত নারীর পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত সোমবার রাতে গোয়ালন্দ পতিতা পল্লিতে অভিযান চালিয়ে জীবননগর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

থানা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের দরিদ্র পিতার ২৬ বছর বয়সী মেয়ে এক সন্তানের জননী। তিনি ছিলেন স্বামী পরিত্যক্তা। ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাভারে অবস্থানরত একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে প্রতারক বাবু তাকে নিয়ে যায়। এ সময় বাবু ওই নারীকে সাভারের চৌতালী গার্মেন্টসে চাকরি দেয়। এক মাস পর বাবু তার দু বন্ধুর সহযোগিতায় ওই নারীকে গোয়ালন্দ পতিতা পল্লির সরদারণী বিথীর নিকট দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। সেখানে তার দুর্বিষসহ জীবন কাটছিলো। এ অবস্থার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারার কাঠব্যবসায়ী মজিবর রহমানের সাথে তার পরিচয় হয়। প্রতারিতত নারী পতিতালয়ে কষ্টের কথা মজিবরকে জানিয়ে উদ্ধারের অনুরোধ জানান। মজিবর বিষয়টি তার পরিবারের নিকট জানালে প্রতারিত নারীর পিতা লোকমোর্চার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এলআরপি ম্যানেজার নুঝাত পারভীন উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমলের সাথে পরামর্শ করেন। নেতৃবৃন্দ ওই নারীকে উদ্ধারের জন্য চুয়াডাঙ্গা ও রাজবাড়ি জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেন। উভয় জেলার এসপির পরামর্শে নারীর পিতা জীবননগর থানায় তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন। অভিযোগ পেয়ে গতপরশু সোমবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোয়ালন্দ পতিতা পল্লি থেকে তাকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত নারীকে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।

প্রতারিত নারীর প্রতি সম্মান জানিয়ে তার পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করা হলো না।