হামলা-পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষের ৫ জন আহত : আটক ১

দামুড়হুদায় বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাইয়ের সাথে প্রতিপক্ষের বাবিতাণ্ডা

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় স্কুলছাত্রী বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বড় ভাই প্রিন্স বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ উত্ত্যক্তকারী যুবক শহিদের ভাই সাইদুরকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সন্নিকটে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দামুড়হুদা গার্লস স্কুলপাড়ার বাসিন্দা মৃত খাদেম আলীর মেয়ে দামুড়হুদা পাইলট গালস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী শারমিনকে দামুড়হুদা ব্রিজপাড়ার বাসিন্দা হোটেল গ্যানার ছেলে দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র শহিদ (২০) বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত শহিদ গালস স্কুলপাড়ায় যায় এবং ওই ছাত্রীর বাড়ির অদূরবর্তী পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে ব্যাডমিন্টন খেলছিলো। এ সময় ওই ছাত্রীর বড় ভাই প্রিন্স তাকে বলে তোকে এ পাড়ায় আসতে নিষেধ করেছি তারপরও তুই এ পাড়ায় কেন এসেছিস। এ নিয়ে প্রিন্স তাকে চড়-তাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেয় এবং বেলা ১২টার দিকে প্রিন্স বিষয়টি শহিদের পিতার সাথে বলতে উপজেলা গেট সংলগ্ন হোটেলের সামনে এসে ঘটনাটি বলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত শহিদের দু ভাই সাইদুর ও জাহিদ প্রিন্সের জামার কলার চেপে ধরে টানহেঁচড়া করে। প্রিন্স বাড়িতে ফিরে গিয়ে বিষয়টি তার পক্ষের লোকজনের সাথে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়। শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে ওই স্কুলছাত্রীর ছোট ভাই শাহিন ওরফে মিঠু (২৪), অভিযুক্ত যুবক শহিদ (২০) ও জাহিদ (২৪) রক্তাক্ত জখম হয়। শহিদের পিতা হোটেল মালিক গ্যানা ও তার ছেলে সাইদুর (২৮) জখম হন। আহতদের মধ্যে মিঠু শহিদ ও জাহিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং সাইদুর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই স্কুলছাত্রীর ভাই প্রিন্স বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত শহিদের ভাই সাইদুরকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়। উত্ত্যক্তকারী শহিদ ওই স্কুলছাত্রীকে বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে মর্মে দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গতকাল দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

এদিকে শহিদের ভাই সাইদুর বলেছে, ওই মেয়ের ভাই প্রিন্স আমার ছোট ভাইকে মারধর করার পর দোকানে এসে হুমকি দেয়। দোকান ভাঙচুর করে এবং দোকান লুটপাট করে ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় সাইদুর বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান।