ঘাতক মানিককে হেমায়েতপুর ফুফার বাড়ি থেকে গ্রেফতার

ফলোআপ : দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় প্রতিবেশীর হেঁসোর কোপে নিহত যুবক লিটনের দাফন সম্পন্ন

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় প্রতিবেশীর হেঁসোর কোপে নিহত যুবক লিটনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিজ গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

damurhuda pic. 04.12.14 (4)

এদিকে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘাতক যুবক মানিককে তার ফুপার বাড়ি হেমায়েতপুর থেকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান গোপন সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের হাশেমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে লিটন (২৫) ও প্রতিবেশী যুবক আবু হানিফের ছেলে মানিক (২৪) খড়ি কোড়াতে যায় গ্রামের পার্শ্ববর্তী কুনিয়ার মাঠে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুড়িয়ে রাখা খড়ি ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উভয়ের মধ্যে তর্ক-বির্তক। এরই এক পর্যায়ে মানিক তার প্রতিবেশী যুবক লিটনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তার হাতে থাকা ধারালো হেঁসো দিয়ে লিটনের পিঠে স্বজোরে কোপ মারে। হেঁসোর আগা লিটনের পিঠে ঢুকে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। সাথে সাথে লিটন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মাঠে থাকা লোকজন ছুটে এসে লিটনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় লিটনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাময়িক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাজশাহী নেয়ার প্রস্তুতিকালে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই মারা যান লিটন। সন্ধ্যায় নিহত লিটনের পিতা কলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মানিককে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাতে মরদেহ হাসপাতাল মর্গেই রাখা হয়।