চুয়াডাঙ্গা জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক গোপনে পকেট গঠনের পাঁয়তারা করছেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নূরুল ইসলাম পকেট কমিটি করার পাঁয়তারা করছেন। লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্যই তিনি তার পক্ষের লোকজনকে নিয়ে কমিটি যাতে না করতে পারেন এ জন্য তার নামে আদালতে মামলা হয়েছে। সংস্থার সদস্য হালিমা খাতুন বাদী হয়ে ওই মামলা করেছেন। মামলায় গতকাল রোববার আদালত আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নূরুল ইসলামকে আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্নভাবে সংস্থার অর্থ তছরুপ করে আসছেন। ইতঃপূর্বে গত ২০১২ সালের ২৮ জুন জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণ মেলে। যার পরিমাণ ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ টাকা। তিনি আত্মীয় স্বজনের নামে সংস্থার আলুকদিয়া শাখা হতে বিপুল পরিমাণ ঋণ প্রদান করা হয়। ঋণের টাকা নিজের কাছে গচ্ছিত রেখে আত্মসাৎ করেন। এ কারণে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জেলা সমাজসেবা কার্যালয় নূরুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন। নূরুল ইসলাম কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিজের ছেলে সৌরভ হাসানকে আলমডাঙ্গা শাখায় ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি দেন। সৌরভ এ চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে। কিন্তু বিধান মতে তাকে এইচএসসি পাস ও সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হওয়া বাঞ্ছনীয়। অভিযোগকারীরা আরো জানান, এ বছরের মার্চে সংস্থার সব শাখা হতে ভুয়া ঋণ প্রদান দেখিয়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। আলুকদিয়া শাখা হতে ৩ লাখ টাকা তুলে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা রেখে আত্মসাৎ করেন। যা পিকেএসপি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে এলে ধরা পড়ে। এসব আত্মসাতের ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নূরুল ইসলাম গোপনে দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।