আলমডাঙ্গার খাসকররায় সুদের টাকা নিয়ে দুজনকে মারধর : উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধ দাদন ব্যবসার টাকা আদায়ে দুজনকে মারধর করেছে দাদন ব্যবসায়ী ও তার লোকজন। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হচ্ছেন- সুদের টাকা গ্রহণকারী কাবিলনগর গ্রামের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজি হাসান হাবীব মুনজুর ও তার মধ্যস্থতাকারী খাসকররা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন মোশা। দাদন ব্যবসায়ী খাসকররার সাফায়েত হোসেনসহ তার দুজন সঙ্গী তাদের মারধর করে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় যুবলীগ নেতা কাজি হাসান হাবীব মুনজুর ৮/৯ মাস আগে খাসকররার সাফায়েত হোসে, শুকুর আলী ও জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছ থেকে সুদে ৫০ হাজার টাকা নেন। জামিনদার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন মোশা। জামিনদারের কাছে নিকাহ রেজিস্ট্রার খাতা জমা রাখেন মুনজুর। দাদন ব্যবসায়ীদের শর্তমতে কোন বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করানোর পর রেজিস্ট্রারটি আবারো মোশার কাছে ফেরত দিতে হবে। এতে তারা বুঝতে পারবেন মুনজুর কতো টাকা আয় করেছেন। যাতে আয় রোজগারের টাকা থেকে মুনজুর তাদের সুদের টাকা ফেরত দিতে পারেন। মূলত মুনজুর যাতে মিথ্যা বলে টাকা দিতে দেরি করতে না পারেন তা মনিটরিং করার জন্যই তারা রেজিস্ট্রির জমার বিষয়টি শর্ত হিসেবে জুড়ে দেন। এদিকে মাসিক মাসের সুদের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ওই তিন দাদন ব্যবসায়ী শুক্রবার মোশার কাছে আসেন। মোশা তাদের জানান মুনজুর তার কাছে ১ হাজার ১শ টাকা দিয়ে গেছেন। তিন হাজার টাকা জমা হলেই তিনি তাদেরকে দিয়ে দিবেন। শুক্রবার তারা ফিরে গেলেও গতকাল সন্ধ্যায় খাসকররা বাজারে সাফায়েত হোসেন মোশার কাছে আবারো টাকা নিতে আসেন। কিন্তু তিন হাজার টাকা জমা না হওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। সাফায়েত দাবি করেন নিকাহ রেজিস্ট্রারটি তার কাছে দেয়া হোক। কিন্তু মোশা জানায় যারা মধ্যস্থতা করে তার কাছে রেজিস্ট্রার দিয়েছেন তাদের আনতে হবে। এ নিয়ে দুজনের মাঝে বাকতিবা শুরু হলে সাফায়েত মারমুখি হয়ে ওঠেন। শাফায়েত ও তার সঙ্গীয় রিপন হোসেন এবং জিহাদ মিলে মোশাকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে মুনজুরকে মারধর করেন শুকুর আলী।

এদিকে মারধর কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। পরে অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। পুনরায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাসকররা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই রবিউল ইসলাম। তবে বিষয়টি নিয়ে গতরাতে বাজারে বৈঠক হওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।